তিনজনের অভিষেক হচ্ছে বৃহস্পতিবার !
স্বাগতিক দল সব সময়ই কন্ডিশনের বাড়তি সুবিধা পায়। চেনা জানা পরিবেশ-পরিস্থিতি, দর্শক- সমর্থকপুষ্ট হয়ে খেলাই শুধু নয়, নিজ শক্তি-সামর্থ্যওে সঙ্গে লাগসই পিচে খেলা আয়োজনের সুবিধাটুকুও মেলে।
বিশ্বের সব টেস্ট খেলুড়ে দেশ ঘরের মাঠে নিজ শক্তি ও সামর্থ্যরে সঙ্গে মিল রেখে উইকেট তৈরি করে। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার বেশির ভাগ উইকেটই পেস সহায়। বাড়তি বাউন্সি। ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলা মানেই স্পিনারদের স্বর্গ।
বাংলাদেশেরও বেশিরভাগ সময় নিজ সামর্থ্যরে সাথে মিল রেখে স্লো-লো ও স্পিন সহায় ট্র্যাকে খেলার রেকর্ড আছে। এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও হয়তো ওই রকম উইকেটেই খেলা হবে। কিওরেটর স্বাগতিক টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছে অনুযায়ী উইকেট তৈরি করতে না পারলে ভিন্ন কথা।
এমনিতে মনে হচ্ছে অ্যালিস্টার কুকের দলের বিরুদ্ধে মুশফিকুর রহীমের বাংলাদেশ খেলবে স্লো ও লো পিচে; এক ঝাঁক স্পিনার নিয়ে। ১৪ জনের দলে দুই বাঁ-হাতি স্পেশালিস্ট স্পিনার সাকিব ও তাইজুলের সঙ্গে দুই অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও শুভাগত হোমের অন্তর্ভূক্তিই বলে দিচ্ছিল সেটা।
ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকও মনে করেন, এ পিচ প্রথম দু’দিন থাকবে ব্যাটিং বান্ধব। তারপর থেকে ধীরে ধীরে চলে যাবে স্লো-বোলারদের হাতে। সে চিন্তা থেকেই হয়ত বাংলাদেশ একাদশে স্পিনারের ছড়াছড়ি।
টিম ম্যানেজমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও একাদশ ঘোষণা করেনি। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক ও মুশফিকুর রহীম কারো কন্ঠেই প্রথম ১১ জনের নাম শোনা যায়নি। নির্বাচকদের মুখেও তালা।
তবে একটি দায়িত্বশীল নির্ভরযোগ্য সূত্র জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার মুশফিক বাহিনী মাঠে নামছে এক ঝাঁক স্পিনার নিয়ে। চট্টলার সাগরিকায়, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুব সম্ভবত অভিষেক হচ্ছে তিন তরুণ সাব্বির রহমান রুম্মন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বির।
১৪ জনের দলে একদম নতুন মুখ চারটি। তার মধ্যে তিনজনের অভিষেক হলে বাকি থাকবেন শুধু নুরুল হাসান সোহান। মুশফিক যেহেতু কিপিং করবেন, তাই সোহানের বাইরে থাকা ছাড়া উপায়ও নেই।
এর মধ্যে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি সাব্বির রহমান সাত নম্বরে খেলবেন- তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।
অফস্পিনার কাম মিডল অর্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলানোর ইঙ্গিতও মিলেছিল। দেখার বিষয় ছিল, একদম নতুন থেকে আর কারো অভিষেক হয় কি না? শেষ খবর, পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বিরও অভিষেক হচ্ছে এই টেস্টে।
এই তরুণ খেলতে পারেন, এমন ইঙ্গিত ছিল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কন্ঠ থেকেও পাওয়া গিয়েছিল। আল-আমিন ও রুলেকে বাইরে রেখে রাব্বিকে দলে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিনহাজুল আবেদিন বলেছিলেন, রুবেল ও আল আমিনের চেয়ে কম গতিই রাব্বির দলভুক্তির অন্যতম কারণ। কম গতির পাশাপাশি তার বল তেমন ওঠেও না। নীচে থাকে- এটাও নাকি প্লাস পয়েন্ট। এমন মন্তব্যই ছিল প্রধান নির্বাচকের।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ যেহেতু একদম নির্জীব ও ব্যাটিং সহায়। বাড়তি গতি ও বাউন্স কোনটাই এ পিচে তেমন কার্যকর হবে না। তাই হয়ত রাব্বিকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।
এদিকে রাব্বির পর বাঁ-হাতি তাইজুলও অটোমেটিক চয়েজ। সাকিবের সঙ্গে তাইজুলের খেলাও শতভাগ নিশ্চিত বলে জানা গেছে। তাহলে এখন কী দাড়াল? রইলো বাকি এক।
১১ নম্বর পজিসনটা কার? শফিউল ইসলাম, নাকি শুভগত হোমের? এ নিয়ে রাজ্যের জল্পনা-কল্পনা! শেষ খবর, কামরুল ইসলাম রাব্বি একা নন, পেসার খেলবেন দু’জন। মানে নতুন বলটা রাব্বির সঙ্গে শফিউলও ভাগ করে নেবেন।
এ দুজনার ১১ জনে থাকার অর্থ সোহানের পাশাপাশি সৌম্য সরকার ও শুভগত হোমের বাইরে থাকা।
শেষ পর্যন্ত একাদশ দাঁড়াচ্ছে এমন
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম (অধিনায়ক), সাকিব-আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি