ভেঙেই যাচ্ছিল মাহেলা-সাঙ্গাকারার ৬২৪ রানের জুটি!
ইনিংসটা ঘোষণা করার সময় সম্ভবত রেকর্ডের কথাটা একটুও মাথায় ছিল না মহরাষ্ট্রের অধিনায়ক স্বপ্নিল গুগালের। না হয়, মাত্র ৩০ রানের জন্য কেন রেকর্ডটাকে এভাবে হাতছাড়া করে আসবেন তিনি?
এটা তো আর যেন-তেন রেকর্ড নয়। আবার বলে-কয়েও করা যায় না। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ জুটি রেকর্ডের চেয়ে মাত্র ৩০ রান দুরে থাকতে কেউ ইনিংস ঘোষণা করে? রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির বিপক্ষে অঙ্কিত বাওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজিত ৫৯৪ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন স্বপ্নিল।
মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির দ্বিতীয় দিন বিকালের দিকে দিল্লির একটা-দু’টা উইকেট ফেলার আশাতেই মূলতঃ ইনিংসটির ঘোষণা করে দিয়েছিলেন স্বপ্নিল গুগালে। না হয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল কীর্তিটি গড়ে ফেলতে পারতেন তিনি আর অঙ্কিত বাওয়ানি।
২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলম্বোয় কোন উইকেট জুটিতে ৬২৪ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন শ্রীলংকার দুই কিংবদন্তী মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং কুমার সাঙ্গাকারা। তৃতীয় উইকেটে গড়া ওই জুটিটাই ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। দ্বিতীয় স্থানে থাকলো গুগালে আর বাওয়ানির গড়া এই রেকর্ডটি।
তবে ৭০ বছরের একটি রেকর্ড ঠিকই ভেঙেছেন স্বপ্নিল গুগালে এবং অঙ্কিত বাওয়ানি। ১৯৪৬/৪৭ সালে বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার বিজয় হাজারে এবং গুল মোহাম্মদ মিলে গড়েছিলেন ৫৭৭ রানের জুটি। ৭০ বছর ধরে টিকেছিল এই রেকর্ডটি। অবশেষে সেটিকেই ভেঙে দিলেন তারা দু’জন।
৪১ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি বাধেন গুগালে এবং বাওয়ানি। এরপর শুধুই দিল্লি বোলারদের দীর্ঘশ্বাস। টানা দুদিন ব্যাট করে ৬৩৫ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেন স্বপ্নিল গুগালে। ৩৫১ রানে গুগালে এবং ২৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বাওয়ানি।
৫৪০ রান করার পরই অবশ্য রঞ্জির তৃতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়েন মহারাষ্ট্রের এই দুই ব্যাটসম্যান। ২০১২ সালে সাগর জোগিয়ানি এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিলে গড়েছিলেন ৫৩৯ রানের জুটি।
আইএইচএস/এমএস