সম্ভাবনা জাগিয়ে ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ইংলিশদের বিপক্ষে একমাত্র তার ব্যাটই ছিল স্বচ্ছন্দ। তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি।
সম্ভাবনা ছিল ক্যারিয়ারে আরেকটি সেঞ্চুরি করার। ইংলিশ বোলারদের সেভাবে শাসনও করে যাচ্ছিলেন তিনি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে গড়েছিলেন ৪৮ রানে জুটিও।
তবে আদিল রশিদের গুগলির কাছে ধরা খেয়ে গেলেন তিনি। তার লো হয়ে আসা বলটিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট ফাঁকি দিয়ে গিয়ে বলটি আঘাত হানে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে। আম্পায়ার শরফদ্দৌলা আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও বাংলাদেশ রিভিউ নেয়; কিন্তু রিভিউতে আউটের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো।
এরপর আউট হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ৪৯ বলে ২৯ রানের সম্ভাবনাময়ী একটি ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি; কিন্তু আদিল রশিদের প্রলুব্ধ করা একটি বলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। ছক্কা হাঁকাতে যান। ধরা পড়লেন বাউন্ডারি লাইনে।
১৬৯ রানে পড়ে ৭ম উইকেট। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৪৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২। উইকেটে ১৩ রান নিয়ে মাশরাফি এবং ৪ রান নিয়ে রয়েছেন নাসির হোসেন।
এর আগে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮৯ রান না তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আউট হন তামিম-ইমরুল-সাব্বির এবং মুশফিক।
টস ভাগ্যই যাচ্ছে না মাশরাফির পক্ষে। প্রথম ওয়ানডের মত দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টসে হারলেন তিনি। ফলস্বরূপ আমন্ত্রণ পেলেন প্রথমে ব্যাট করার জন্য। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করেছিলেন ইরুল কায়েস এবং তামিম ইকবাল। দু’জনের ২৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে শুরুতেই বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল।
তবে চিরাচরিত ভুলটা করে বসলেন ইমরুল কায়েস। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করার কারণে যে আত্মবিশ্বাস ভর করেছিল, সেটা যেন একটু বেশিই হয়ে গেলো। যে কারণে ক্রিস ওকসের কাছ থেকে একটি শট বল পেয়েই লোভ সামলাতে পারলেন না তিনি। ডিপ স্কয়ার লেগে তুলে দিলেন আকাশে। ইংল্যান্ডও জাল পেতেছিল যেন। ক্যাচটা তালুবন্দী করতে মোটেও কষ্ট করতে হয়নি ডেভিড উইলিকে।
১৮ বলে দুটি বাউন্ডারিতে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। ইমরুলের মত একই ফাঁদে পা দিলেন তামিম ইকবালও।
লেগ সাইডে ফিল্ডিং সাজিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। বোলার সেই ক্রিস ওকস। তামিমকে প্রলুব্ধ করলেন শট খেলার জন্য। শট বল হালকা বাউন্স হয়ে এসেছিল। তামিম পুল করতে গেলেন। সুতরাং ক্যাচ মিড উইকেটে। মঈন আলি ক্যাচটা ধরলেন। ৩১ বলে ১৪ রান করে আউট হলেন তামিম।
তামিম-ইমরুলের মত উইকেট থ্রো করে আসলেন সাব্বির রহমান এবং মুশফিকুর রহিমও। প্রথমে সাব্বির রহমান আউট হলেন জ্যাক বালের একটি বলকে স্ট্যাম্পে টেনে নিয়ে বোল্ড হলেন। ২১ বল মোকাবেলা করে রান করেছেন মাত্র ৩। ৩৯ রানে পড়লো তিন উইকেট।
এরপর মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহ মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত মিলছিল এই দুই ভায়রা ভাইয়ের ব্যাটে ভর করে; কিন্তু জুটিটাকে বড় হতে দিল না মুশফিকুর রহীমের একটি ভুল। জ্যাক বালের একটি বাউন্সারকে পুল করার লোভ সামলাতে পারলেন না তিনি। ক্যাচ তুলে দিলেন মঈন আলি ক্যাচটা তালুবন্দী করলেন বাউন্ডারি লাইনের কাছে।
আইএইচএস/আরআইপি