ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পাক-ভারত যুদ্ধে জড়াতে চান আফ্রিদি

প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৬

কাশ্মিরের উরি সীমান্তে ১৭জন ভারতীয় সেনা হত্যার ঘটনা নিয়ে এখন মুখোমুখি অবস্থানে ভারত এবং পাকিস্তান। ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রন রেখা ভেঙে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানও দাবি করছে, জবাবে তারা ভারতের আট সেনাকে হত্যা করেছে। এখানে থেমে থাকলেও কথা ছিল; কিন্তু পরিস্থিতি দিন দিন যেভাবে উত্তপ্ত হচ্ছে, তাতে যে কোন সময় ভয়াবহ যুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের বিপক্ষে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বসেছেন পাকিস্তানের বর্ষিয়ান ক্রিকেটার, সাবেক অধিনায়ক বুমবুমখ্যাত শহিদ আফ্রিদি। একদিন আগেই বেশ বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জারজ সন্তান উল্লেখ করে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ভারতকে আহ্বান জানান তিনি। একদিন পরই গুরুকে সমর্থন জানিয়ে নিজেও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঘোষণা দিলেন আফ্রিদি।

উরি হামলার পর দু’দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল তাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিলেন আফ্রিদি। টুইটারের মাধ্যমে তিনি বিবাদমান দুই দেশের জনগনের প্রতি শান্তি স্থাপনেরও আহ্বান জানান। টুইটারে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সব সময়ই শান্তিকামী দেশ। এ দেশের জনগন শান্তি পছন্দ করেন। তাহলে কেন উত্তেজনাপূর্ণ কথা-বার্তা বলা হচ্ছে? যে সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব, কেন সেই পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করা হচ্ছে?’

প্রতিবেশির সঙ্গে পাকিস্তান শান্তি চায়- এই কথাটাকে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে আফ্রিদি লেখেন, ‘পাকিস্তান সবার সঙ্গে ভালো এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। যখন দুই প্রতিবেশি লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তখন দু’জনেরই ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সুতরাং, যুদ্ধকে না বলুন।’

আফ্রিদির এসব মন্তব্য নিয়ে ভারতজুড়ে হাস্যরসের সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। ভারতের কিছু নিউজ পোর্টাল এমনও উল্লেখ করেছে যে, ভারতের শক্তিতে ভয় পেয়ে এমন মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। তিনি ভারতকে ভয় পান। এ বিষয়টিই আবার দৃষ্টিগোচরে আনা হয় আফ্রিদির। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারত আসলে পাকিস্তান সেনাবাহিনি সম্পর্কে অবগত নয়। এ কারণে তারা এমন মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছে। এখানে তো সবাই পাঠান। পাঠানরা সীমান্তে দাঁড়িয়ে গেলে দুনিয়ার আর কারো শক্তি নেই সেই দেয়াল অতিক্রম করে।’

উল্লেখ্য, আফ্রিদি নিজেও একজন পাঠান। তার শরীরে বইছে পাঠানের রক্ত। উরি হামলার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কোনভাবেই আর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না।

আইএইচএস/এবিএস

আরও পড়ুন