আস্থার প্রতিদান দিয়েই স্কোয়াডে মোশাররফ
৩৪ বছর বয়স হয়ে গেছে মোশাররফ হোসেন রুবেলের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই বয়সে অবসর জীবন কাটানোর কথা তার। অথচ কী ধৈর্যেরই না পরিচয় দিলেন তিনি। প্রায় আট বছর পর ফিরলেন জাতীয় দলে। মাঝে আইসিএলে খেলতে গিয়ে ক্যারিয়ার থেকে হারিয়ে ফেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বছর।
২০১৩ সালে দলে ফিরলেও মাঠে নামা হয়নি। তবুও দমে যাননি রুবেল। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম্যান্স করার কারণে অবশেষে জায়গা মিলল আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য গঠিত ২০ সদস্যের ওয়ানডে পুলে। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে দলে জায়গা পাননি তিনি।
এই দুই ম্যাচে স্পিন স্পেশালিস্ট হিসেবে দলে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। স্পিননির্ভর উইকেটে যেখানে আফগান স্পিনাররা ঝড় তুলেছিলেন, সেখানে তাইজুল ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। দুই ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট। মূলত ম্যাচে কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেনি তাইজুলের স্পিন।
সুতরাং তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়লেন তাইজুল। আট বছর পর ফিরিয়ে আনা হলো আরেক বাঁ-হাতি অর্থোডক্স মোশাররফ হোসেন রুবেলকে। শুধু দলে ফেরানোই নয়, আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে একাদশেও রাখা হলো তাকে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক মাশরাফির আস্থার প্রতিদান দিলেন রুবেল। ৮ ওভারে ১টি মেডেনসহ ২৪ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৩ উইকেট।
বল হাতে সেরা পারফরমারও ছিলেন তিনি। যে কারণে ২৭৯ রান তাড়া করতে নেমে আফগানরা অলআউট হয়ে গেলো ১৩৮ রানে। ১৪১ রানের বিশাল জয়ে সিরিজের সঙ্গে গৌরবময় শততম ওয়ানডে জয়ও তুলে নিল বাংলাদেশ।
আস্থার প্রতিদান দেয়ার ফলটাও হাতে-নাতে পেয়ে গেলেন রুবেল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য দলে ডাক পেয়ে গেলেন তিনি। একমাত্র স্পিন স্পেশালিস্ট হিসেবে দলে সুযোগ পেলেন তিনি। সঙ্গে ব্যাটটাও চালাতে পারেন ভালো। সুতরাং, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ পাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত তার। ভালো করতে পারলে টেস্ট স্কোয়াডেও সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন। চাই কি, টেস্ট অভিষেকটাও হয়ে যেতে পারে মোশাররফ রুবেলের।
আইএইচএস/এবিএস