‘সেঞ্চুরিগুলোকে ১৫০-১৬০ উন্নীত করা উচিত’
তার সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার। ২০০৯ সালে বুলাওয়ের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ১৫৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল।
শনিবার সে রান টপকে আরও বড় ইনিংস খেলার হাতছানি ছিল। কিন্তু ইনিংসের ৬৮ বল আগে আফগান অফস্পিনার মোহাম্মদ রশীদকে লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয় নিজ হাতে সে সম্ভাবনার মৃত্যু ডেকে আনেন তামিম।
খেলা শেষে দেশের এক নম্বর ওপেনার নিজ মুখে স্বীকার করেছেন, তার সামনে দেড়শো কিংবা তারও বেশি রানের ইনিংস সাজানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল; কিন্তু নিজের ভুলেই তা হয়নি।
এ সম্পর্কে তামিমের ব্যাখ্যা, ‘আমার সামনে সুযোগ ছিল বড় ইনিংস খেলার। হয়ত দেড়শো কিংবা তারচেয়েও বেশি রান করতে পারতাম; কিন্তু নিজের ভুলেই পারিনি।’
কেন মোহাম্মদ নবিকে তেড়েফুড়ে মারতে যাওয়া? কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তামিম যা বলেন, তার সারমর্ম হলো, আগের ওভারে লেগস্পিনার রহমত শাহকে দুই ছক্কা হাঁকানোর পর তার লক্ষ্য ছিল অফস্পিনার নবিকে অকেজো করে দেয়া। তাই নবির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছি।
এ সম্পর্কে তামিমের আরো ব্যাখ্যা, বেশ কিছু ওভার বাকি ছিল, আমি আগের ওভারে লেগস্পিনার রহমত শাহকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলাম। তারপরে টার্গেট করেছিলাম নবিকে হাত খুলে খেলার। লক্ষ্য ছিল নবির বলে যদি কিছু রান আদায় করে নিতে পারি, তাহলে খুব ভালো হবে।
কারণ অন্যরা ভালো বল করছিল। হয়তো হিসেবে একটু ভুল হয়েছে। নবিও ভালো বল করেছে। হয়তো ওই ওভার এক এক করে খেলে পরবর্তীতে কাউকে যদি টার্গেট করে রান করতাম তাহলে আরো ভালো হত।
শুধু এই ম্যাচে বড় ইনিংস সাজাতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করাই নয়। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যে তুলনামুলক দুর্বল ও কমজোরি বোলিং শক্তির বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিগুলোকে ১৫০/১৬০ করতে পারেন না- তামিম তাও অকপটে স্বীকার করেছেন।
শনিবার খেলা শেষে তামিমের কাছে প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পর্যাপ্ত ওভার ও সুযোগ হাতে থাকার পরও দেড়শো কিংবা তারচেয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেন না। আপনি কি তা স্বীকার করেন?
তামিম, ‘হ্যা অবশ্যই স্বীকার করি। অবশ্যই আমাদের ১০০ গুলো ১৫০-১৬০ করা উচিত। সত্যি কথা বলতে আমার কাছে আজ সুযোগও ছিল। এটা কারো দোষ না, আমার নিজেরও দোষ। আমি নিজেই করতে পারিনি। সব সময় আমি বলি যখন আমার কাছে সর্বোচ্চ সময় থাকে তখন সর্বোচ্চ সুযোগ নেয়া উচিত।’
তামিম মানছেন, যখন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বড় ইনিংস খেলবেন, তখন ব্যাটসম্যানরা আরো ওপরে যেতে পারবেন।
এআরবি/আইএইচএস/এএম