সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত মোশাররফ রুবেল
মিরপুরে টাইগাররা প্রথম দুই ম্যাচে যখন আফগানদের মোকাবেলা করছিলো মোশাররফ হোসেন রুবেল তখন বগুড়ায় জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত। দিন শেষে হঠাৎই জানলেন, এখনই উড়ে যেতে হবে ঢাকায়। শেষ ওয়ানডেতে জাতীয় দলে জায়গা মিলে গেছে তার।
ঢাকায় ফিরেই তাই সরাসরি অনুশীলন করতে নেমে গেছেন রুবেল। তবে হঠাৎ ডাক পাওয়ায় অবাক হলেও সুযোগ আসবেই এমন আশা ছিল তার। সুযোগ পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত এ বাঁ-হাতি অর্থোডক্স।
বৃহস্পতিবার টাইগারদের টিম হোটেলে সাংবাদিকদের রুবেল বলেন, ‘অবশ্যই অপেক্ষা করছিলাম এরকম কিছুর জন্য। যেহেতু দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছিলো। তো আশা ছিলো সুযোগ পাবো। অবশেষে সুযোগ পেয়েছি। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে।’
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন রুবেল। নির্বাচকদের নজর তখন থেকেই ছিল তার ওপর। একইসঙ্গে এইচপি ক্যাম্পে দারুণ বোলিং করার কারণে সুযোগটা আরও সহজ তার জন্য। আবার আফগানদের বিপক্ষে বাঁ-হাতি স্পিনারদের দাপটের ফলে সুযোগ পেয়েই যান তিনি। আর এ সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় দলে নিয়মিত জায়গা ধরে রাখার প্রত্যয় প্রকাশ করেন রুবেল।
‘আমি মনে করি অনেক বেশি সুযোগ আছে নিয়মিত হওয়ার। এতোদিন অপেক্ষা করার পর সুযোগ পেয়েছি। নিয়মিত পারফরম্যান্স করে এসেছি, জাতীয় দলে পারফর্ম করার জন্য কঠিন চেষ্টা করছি। অবশেষে সে সুযোগটা পেয়েছি। এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য অবশ্যই আমাকে চেষ্টা করতে হবে। প্রথম ম্যাচেই চেষ্টা করবো সেরা পারফর্ম করার জন্য।’
জাতীয় দলে প্রায় সাড়ে আট বছর পর ফিরলেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করেন রুবেল। নিয়মিত অনুশীলন ম্যাচ ও ঘরোয়া লিগে খেলার কারণে উইকেটের ব্যবহার ভালো জানেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাই ভালো করার ব্যপারে দারুণ প্রত্যয়ী এ বাঁ-হাতি স্পিনার।
‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি অনুশীলন ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত। প্রিমিয়ার লিগ বলেন আর যাই বলেন, খেলার মধ্যেই ছিলাম। আর আমি উইকেটের ব্যবহার সম্পর্কেও জানি। তো আমি আত্মবিশ্বাসী, যে ভালো করতে পারবো।’
প্রসঙ্গতঃ ২০০৮ এর মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন মোশাররফ রুবেল। তিন বছর আগেও একবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার।
আরটি/আইএইচএস/এবিএস