সাকিব বিষে নীল আফগানিস্তান
মাত্র ২০৮ রানের পুঁজি। এই রান নিয়ে লড়াই করতে হবে বোলারদের। ব্যাটসম্যানরা হয়েছেন ব্যর্থ। বোলাররা কী পারবেন বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে? বিশাল এক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।
তবে শুরুতেই আফগান ব্যাটসম্যানদের ওপর ঝড় তুরে দিয়েছিলেন স্পিনার সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মাশলাফি নিজে বোলিং ওপেন করতে আসেন এক প্রান্ত থেকে। অপর প্রান্তে ওপেন করার জন্য বল তুলে দেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের হাতে।
প্রথম তিন ওভার ভালোই দেখে-শুনে খেলতে থাকে আফগান দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং নওরোজ মঙ্গল। তবে, চতুর্থ ওভারে এসে(নিজের দ্বিতীয় ওভার) সাকিবের ঘূর্ণি বিষে নীল হতে শুরু করে আফগানিস্তান। ওভারের চতুর্থ বলে এসে সাকিবের ইনসুইং বুঝতে পারেননি তিনি। অপ্রস্তুত হয়ে ব্যাটে বল লাগিয়ে তুলে দিলেন কভার অঞ্চলে। তালুবন্দী করলেন তাইজুল ইসলাম। ১০ রান করে নওরোজ মোঙ্গল।
ওভারের শেষ বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লেন রহমত শাহ। আগের ম্যাচেই এই ব্যাটসম্যান ৭১ রান করে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু আজ সাকিবের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে গেলেন কোন রান না করেই।
এরপর হাশমতুল্লাহ শহিদীকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন অপর ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। তিনি নিজেও রান তুলতে থাকেন দ্রুত গতিতে। ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন শাহজাদ। জুটি গড়েন ৪৫ রানের। তবে শেষ পর্যন্ত ১৪তম ওভারে এসে জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই নিলেন উইকেট। ফেরালেন হাশমতুল্লাহ শহিদীকে।
এরপর আবারও সাকিব ধামাকা। এবার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাতে বিদায় নিলেন মারকুটে ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩৫ রানে তিনি আউট হয়ে যান সাকিবের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় আফগানিস্তানের রান ১৮.১ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৯। উইকেটে রয়েছেন আসগর স্টানিকজাই এবং মোহাম্মদ নবি।
আইএইচএস/আরআইপি