ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সব অনুমান সত্য প্রমাণ করেই জাতীয় দলে মোসাদ্দেক

প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তিনি শিগগিরই জাতীয় দলে জায়গা পেতে পারেন। এমন আভাস মিলেছিল আগেই। কেন মিলবে না? ঘরোয়া ক্রিকেটে গত এক বছর সীমিত ও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ময়মনসিংহের এ তরুণ। গত লিগে আবাহনীর হয়ে অন্তত তিন তিনটি বিগ ম্যাচে দল জেতানো ব্যাটিংসহ ৭৭.৭৫ গড়ে ৬২২ রান করে পাদপ্রদীপের আলোয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

তার আগেই দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে গড়ে বসেন রেকর্ড। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যা নেই কারো। একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যার আছে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চরি। জাতীয় লিগে ১০ ইনিংসে ৮১.৫৫ গড়ে ৭৩৪ রান।
 
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৭ সেঞ্চুরি। যার তিনটি আবার ডাবল সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের আর কারো নেই এ রেকর্ড। এবার প্রিমিয়ার লিগে সৈকতের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন ও খালেদ মাসুদ পাইলট।

গত জুন মাসে জাগো নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে জাতীয় দলের ম্যানেজার ও বর্তমান দল নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যতম সদস্য খালেদ মাহমুদ সুজন এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট সুষ্পষ্ট বলেছিলেন, ‘মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এখনই জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখে।’

মোসাদ্দেক প্রিমিয়ার লিগে যে দলের হয়ে খেলেছেন সেই লিগ বিজয়ী আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ‘আমি মোসাদ্দেক সৈকতকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, এ তরুণ এখনই জাতীয় দলে ঢোকার দাবিদার।’
 
অন্যদিকে, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কোচ খালেদ মাসুদ পাইলট মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘এক কথায় আমি মুগ্ধ। সত্যিই দারুণ খেলোয়াড়। খুবই কার্যকর। সীমিত ওভারের ফরম্যাটে একজন ফ্যান্টাস্টিক পারফরমারের প্রতিচ্ছবি মোসাদ্দেক।

শটস খেলার সামর্থ্য আছে। মনের জোরটাও বেশ। আমার বিশ্বাস, মোসাদ্দেক এখনই সীমিত ওভারের ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য রাখে। তাকে এখনই ওয়ানডে দলে নেয়া যেতে পারে।’

শুধু সুজন ও পাইলট নন, জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারোয়ার ইমরান এবং সহকারী কোচ সালাউদ্দীনও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নজরকাড়া ও আত্মবিশ্বাসী উইলোবাজির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। চার চারজন দক্ষ ক্রিকেটার গড়ার কারিগর ও নৈপথ্য কুশীলব ঢাকা লিগ শেষে সৈকতের মেধার প্রশংসা করা ছাড়াও নির্বাচকদের একটি সিদ্ধান্তই বলে দিচ্ছিল, সৈকতের দিকে বিশেষ দৃষ্টি আছে তাদের। তা হলো, সমসাময়িক ও এবারের ঢাকা লিগে দারুণ খেলা আল-আমিন জুনিয়র এবং আব্দুল মজিদকে এইচপি ট্রেনিং প্রোগ্রামের রাখা হলেও সৈকত সরাসরি জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পান।

বৃহস্পতিবার ১৩ জনের দলে জায়গা পাওয়ার মধ্য দিয়ে সে অনুমান ও পূর্বাভাস সত্য প্রমাণ হলো। তাইতো প্রেস কনফারেন্সে মোসাদ্দেক সৈকতকে বিবেচনায় আনার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল অবেদিন নান্নু বলে উঠলেন, ‘কিছু কিছু ক্রিকেটার আছে যাদের মেধা আগেই টের পাওয়া যায়। সৈকত সেই দলের সদস্য। মোসাদ্দেক ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করেছে। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও তার ভালো পারফরম্যান্স আছে।

গত দুই বছর সে দারুণ খেলেছে। প্রিমিয়ার লিগেও তার পারফরম্যান্স ভালো। আমরা মনে করি সে প্রস্তুত হয়ে উঠেছে।’

এআরবি/এনইউ/পিআর

আরও পড়ুন