‘ম্যারাডোনা যা ছিল, মেসি এখন তা-ই’
দুই প্রজন্মের দুই সেরা ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা দলে ধ্রুবতারা হয়েই এসেছেন তারা। ক্লাব ফুটবলেও ম্যারাডোনা-মেসির জয়গান। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি যেমন মনে রাখবে ম্যারাডোনাকে, তেমনি মেসির অবদান ভুলতে পারবে না বার্সেলোনা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই দুই আর্জেন্টাইনের অবদান অপরিসীম। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছেন ম্যারাডোনা। নব্বইয়ের ফাইনালেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। দুর্ভাগ্য ম্যারাডোনার, নব্বইয়ের বিশ্বযজ্ঞে শিরোপা জেতা হয়নি তার। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আর্জেন্টিনা হেরে যায় জার্মানির কাছে।
লিওনেল মেসি অবশ্য জাতীয় দলের হয়ে বড় কোনো ট্রফি জিততে পারেননি! তাকে তো অনেকে ‘ট্রাজিক হিরো’ই আখ্যা দিয়ে থাকেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেও জিততে পারেননি অধরা শিরোপা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলেছেন দু’বার। ট্রফি আর উঁচিয়ে ধরতে পারেননি তিনি। তবে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসিই (৫৫ গোল)।
ফুটবল মাঠে মেসি কী করতে পারেন, তা অজানা নয় কারোরই। তার জাদুতে বিমোহিত গোটা ফুটবল দুনিয়া। জার্মানির কিংবদন্তী লোথার ম্যাথাউসও তা-ই। মেসির মধ্যে ম্যারাডোনাকে খুঁজে পান বিশ্বকাপজয়ী জার্মান ফুটবলার। কারণ ম্যারাডোনার জাদু ম্যাথাউস দেখেছেন খুব কাছে থেকেই। জাতীয় দলে যেমন দ্বৈরথ ছিল তাদের। তেমনি ছিল ক্লাব ফুটবলেও। ইতালিয়ান লিগে লড়াইটা হতো ইন্টার মিলানের ম্যাথাউস বনাম নাপোলির ম্যারাডোনার মধ্যে।
মেসি-ম্যারাডোনার মিল খুঁজতে গিয়ে ম্যাথাউস বলেন, ‘৩০ বছর আগে ম্যারাডোনা যা ছিল, মেসি এখন তা-ই।’
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা যেভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন, তা আজো ভোলেননি ম্যাথাউস। সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন এভাবে, ‘যদি আমাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে হয়, আমি শুধু ম্যারাডোনার কথাই বলব। আমার জীবনে আমি অন্য কোনো খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপে এমন দাপটের সঙ্গে খেলতে দেখিনি, যেভাবে ছিয়াশির বিশ্বকাপে খেলেছে ম্যারাডোনা।’
এনইউ/এবিএস