মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার ঝড়ে উড়ে গেলো লেগানেস
বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক আক্রমণভাগ কাদের? এ প্রশ্নের জবাব যে কেউ চোখ বন্ধ করে বলে দেবেন বার্সেলোনার কথা। মেসি-নেইমার আর সুয়ারেজের মত বিধ্বংসী স্ট্রাইকার যে দলে থাকতে পারে, তাদের আক্রমণভাগ বিশ্বসেরা হবে না তো কার হবে। এর প্রমাণ প্রতিনিয়ত তারা যেমন দিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি আজ আবারও দিলেন।
স্প্যানিশ লা লিগায় লেগানেসের বিপক্ষে একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন এমএসএন ত্রয়ী। তাতেই জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেলো লিগে উঠে আসা লেগানেস। উড়ে গেলো তারা ৫-১ গোলের ব্যবধানে। জোড়া গোল করলেন মেসি। একটি করে গোল করলেন নেইমার এবং সুয়ারেজ। বাকি গোলটি এসেছে রাফিনহার পা থেকে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক আক্রমণভাগ থাকা সত্ত্বেও গত সপ্তাহের ম্যাচে আলাভেসের কাছে মারাত্মক ধরা খেয়েছিল বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে চমকের শিকার হয়ে হেরে গিয়েছিল ২-১ গোলের ব্যবধানে। লিগে উঠে আসা আলাভেসকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি লুইস এনরিকে। যে কারণে ওই ম্যাচে তার একাদশ ছিল সাইড বেঞ্চ দিয়ে সাজানো। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজকে মাঠে নামিয়েও পরাজয় এড়াতে পারেননি ওই ম্যাচে।
লিগের বাকি পথে যেন আর কোন হোঁচট না খেতে হয়, সে শিক্ষাটাই যেন শুরুতে নিয়ে নিলেন এনরিকে। ওই পরাজয়ের পর সপ্তাহের মাঝপথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেলটিককে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সা। এরই ধারাবাহিকতায় লিগে উঠে আসা আরেক দল লেগানেসকে হারালো ৫-১ গোলের ব্যবধানে।
আলাভেসের অভিজ্ঞতার কারণে এই ম্যাচে শুরু থেকেই শক্তিশালি একাদশই মাঠে নামালেন কোচ এনরিকে। সে ধারবাহিকতায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েও দুর্বার বার্সেলোনা। ম্যাচের ১৫তম মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের মাঝ বরাবর থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে গোলে সূচনা করেন মেসি।
খেলার ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বার্সা। এবার গোলদাতা লুইস সুয়ারেজ। গোলের যোগানদাতা লিওনেল মেসি। বক্সের মধ্যে সুয়ারেজকে বলটি পাস দেয়ার পর ৬ গজ দুর থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুইয়ান এই তারকা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে, অর্থ্যাৎ খেলার ৪৪তম মিনিটে ব্যবধান তিনগুণ করে ফেলে বার্সা। এবার গোলদাতা এমএসএনের বাকিজন, নেইমার। তাকে গোলের যোগান দেন সুয়ারেজ। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে প্রতিপক্ষে জাল কাঁপান নেইমার।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১০ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন লিওনেল মেসি। ৫৪তম মিনিটে বক্সের মধ্যে নেইমারকে বাজেভাবে ফাউল করেন লেগানেসের ডিফেন্ডার বুস্তিনজা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নিতে আসেন মেসি নিজে। সেখান থেকেই দলকে ৪-০ ব্যবধান এনে দেন তিনি।
এর ৯ মিনিট পর ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৫-০। ৬৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শটে লেগানেসের জাল ভেদ করেন রাফিনহা। ৮০তম মিনিটে গিয়ে একটি ব্যবধান কমায় লেগানেস। এ সময় নিজেদের অর্ধে ফাউল করে বসেন নেইমার। সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি এবং ফ্রি কিক পায় লেগানেস। ফ্রি কিক নেন গ্যাব্রিয়েল। সোজা তার শটটি গিয়ে আশ্রয় নেয় বার্সার জালে।
আইএইচএস/আরআইপি