টেস্ট-ওয়ানডেতে পরিবর্তন আনছে আইসিসি
দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেটের প্রস্তাব বাতিলের পর এবার টেস্ট-ওয়ানডে ক্রিকেটে কাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে এসব নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ও আইসিসি’র সাবেক সিইও হারুন লরগাত বলেন, ‘সকল বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর সেরা সমাধান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।’
অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কেপ টাউনে চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটি (সিইসি) ও বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করবে। আইসিসি’র পরবর্তী সভায় এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে লরগাত বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, কিছু সদস্য দেশ দুই স্তরের ক্রিকেট কাঠামোতে সমর্থন দেয়নি। কেন এটা দর্শকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য সেরা উপায় হতো সেটিই আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কিছু সদস্য তার পক্ষে যায়নি। তাই বিদ্যমান র্যাং কিংয়ে একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন বিকাশে আমাদের ভিন্ন উপায় বের করতে হবে।’
টেস্ট ক্রিকেটে যেসব পরিবর্তন বিবেচনা করা হবে :
১। বর্তমান এফটিপি (ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম) শিডিউল বহাল রাখা হবে কিন্তু, প্রতি দু’বছরে শীর্ষ দু’টি দল একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ খেলবে। যা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের সম্ভাবনাই বেশি।
২। ২০১৯ সালে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে প্লে-অফ যুক্ত করা হবে।
৩। টেস্ট সিরিজ আয়োজনের জন্য দলগুলো অন্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করার স্বাধীনতা ফিরে পাবে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি:
১। ২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রাক্কালে ওডিআই লিগ কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে।
২। তিন বছরের অধিক সময় ধরে লিগ চলবে যেখানে ১৩টি দেশ এ সময়ের মধ্যে একে অন্যের বিপক্ষে অন্তত একটি সিরিজ খেলবে।
৩। শেষ বছরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফে খেলা টিমগুলো সরাসরি মূল পর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।
৪। একইভাবে টি-টোয়েন্টি লিগ কাঠামো চালু করা হবে।
৫। সীমিত ওভারের সিরিজের দৈর্ঘ্য তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারণ করা হবে।
এমআর/এমএস