বাংলাদেশে আসছেন না মরগ্যান!
সব ঠিক থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দু’টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড। তবে সে সফরে ইংলিশদের মূল জাতীয় দলের কতজনকে পাওয়া যাবে তা জানা যাবে আগামীকাল শনিবার। ইসিবির দেওয়া সময় অনুযায়ী খেলোয়াড়দের মতামত কালই জানবে ইসিবি। তবে এ সফরে না আসার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের। উপমহাদেশে পূর্ব অভিজ্ঞতা আনুসারে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো।
‘একজন খেলোয়াড় সবসময় চায় স্বস্তিতে খেলতে। কিন্তু এর আগে দুবার উপমহাদেশে গিয়ে অস্বস্তিতে পরেছি এবং তা নিরাপত্তাজনিত কারণেই। তখন আমি শপথ করেছিলাম, এমন অবস্থায় আমি আর পড়বো না।’ -ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে বলেন মরগ্যান।
এর আগে ২০১০ সালে আইপিএলে ব্যাঙ্গালুরু মাঠের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সে সময় মাঠে ছিলেন মরগ্যান। তখন সরাসরি চলে যান এয়ারপোর্টে। এরপর ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের হয়ে খেলতে গিয়ে নির্বাচনী অস্থিরতার মুখোমুখী হন তিনি।
পুড়নো স্মৃতি মন্থন করে মরগ্যান আরও বলেন, ‘ব্যাঙ্গালুরুতে আইপিএল চলাকালে মাঠের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তৎক্ষণাৎ আমাদেরকে সরাসরি চলে যেতে হয় এয়ারপোর্টে। এরপর আরেকবার বাংলাদেশে, নির্বাচনী অস্থিরতার মুখোমুখী হতে হয়েছিল। ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল তখন।’
এর আগে ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে একই রকম পরিস্থিতি ছিল বলে জানান মরগ্যান। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে খেলতে গিয়ে জীবন নিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। তবে র্যাগের সিদ্ধান্তের উপর বিশ্বাস রয়েছে বলে জানান মরগ্যান, ‘যদি র্যাগ বলেন এটা নিরাপদ, তাহলে আমি কে এটাকে অন্যকিছু বলার।’
‘তবে এটা আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধান্বিত করছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। ইংল্যান্ড দলে অনেক খেলোয়াড় আছেন, যারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে কখনো পড়েনি।’
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়ে র্যাগ ডিগসনের উপদেশ আগের দিন ইংল্যান্ডের দলের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রস জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের। তিনি তাদের জানান যদি কেউ নিজেদের জায়গা ছেড়ে দেয় এরপর এ জায়গা সহজে নাও উদ্ধার হতে পারে। তাই বাংলাদেশ সফর নিয়ে দারুণ দোটানায় পড়েছেন মরগ্যান।
আরটি/এমএস