শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মাশরাফিকে হারালেন সাকিব
শেষ হলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে মাশরাফিদের ২৩ রানে হারিয়েছে সাকিবরা। আগের ম্যাচের মত এদিনও হতাশ করেছে ব্যাটসম্যানরা। তবে তিন ম্যাচ শেষে আলোয় ছিলেন দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাই। টানা তিন ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহীম। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মত অভিজ্ঞরাই ছিলেন পাদপ্রদীপের আলোয়।
প্রথম দুই প্রস্তুতি ম্যাচে অর্ধশত পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। প্রথম ম্যাচে ৯০ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৭৭। তবে তৃতীয় ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেও শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে তাইজুলের বলে আউট হন তিনি। এছাড়া টানা দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৬ রান করার পর এদিন করেন ৫৪ রান।
ইমরুল কায়েস এবং সাকিব আল হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে করে ২২৮ রানের সাদামাটা স্কোর করে সবুজ দল। তবুও এ স্কোর দিয়েই জয় তুলে নেয় সাকিব আল হাসানের দল। ৩৩.১ ওভারে ৯ উইকেটে মাশরাফির লাল দল ১৮৬ রান করার পর বৃষ্টি নামলে, ডি/এল মেথডে ২৩ রানের ব্যবধানে জয় পায় সাকিবের দল।
মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সবুজ দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন ইমরুল কায়েস। ৯৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন সাকিব। এছাড়া নাসির হোসেন ৩১ রান করেন। লাল দলের পক্ষে ২৭ রানে তিনটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। ৫২ রানে ৩টি উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া মাশরাফি, আল-আমিন, শুভাগত ও কামরুল ১টি করে উইকেট নেন।
২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই এনামুল হক বিজয়কে হারায় লাল দল। তবে অপর প্রান্তে ভালো সূচনা করেছিলেন সৌম্য। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তবে এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সৌম্য। এছাড়া মোশারফ হোসেন রুবেল অপরাজিত ২২ ও মাশরাফি ২০ রান করেন। সবুজ দলের পক্ষে ২৭ রানে ৩টি উইকেট পান সাকিব। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ও শুভাশীষ রায় ২টি করে উইকেট নেন।
আরটি/আইএইচএস/এমএস