ডি ভিলিয়ার্সের হতাশা ২০১৫ বিশ্বকাপ
বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ডি ভিলিয়ার্স অন্যতম। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে ও ছয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়াটা এবি ডি ভিলিয়ার্সের জীবনে ‘সবচেয়ে বড় হতাশা’। পাশাপাশি সে ম্যাচে দলের মূল একাদশ নিয়েও খুশি ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। নিজের প্রকাশিত আত্মজীবনী `এবি: দ্য অটোবায়োগ্রাফি।` তে এ এসব ব্যাপার তুলে ধরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
জোহার্নেসবার্গে উন্মোচিত ডি ভিলিয়ার্সের আত্মজীবনীতে তিনি ২০১৫ বিশ্বকাপের বেশ গভিরে গিয়েছেন। যেখানে তার বিশ্বাস ছিল প্রোটিয়ারা বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে পারতো। সেবার গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ হারের পরও দ. আফ্রিকা নকআউটে পা রাখে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে সিডনিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবারের মতো নকআউট পাড়ি দেয়। ডি ভিলিয়ার্স তার বইতে জানান, স্বাভাবিক ভাবে এটাই ধরা হয়েছিল, কোয়ার্টার ফাইনালের একাদশটিই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচে নামার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের টিম মিটিংয়ে কিছু পূর্বে। ডি ভিলিয়ার্সের কাছে একটি ফোন কল আসে। যদিও তিনি নামটি প্রকাশ করেননি। বলা হয়, ফিল্যান্ডার ফিটনেস টেস্টে উর্ত্তীন হয়েছে আর অ্যাবটোর পরিবর্তে তাকে নিতে হবে।
নিজের আত্মজীবনীতে ক্ষোভের সঙ্গেই ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা দেশটির একমাত্র জাতীয় গভর্নিংবডি, যাদের টার্গেট সেট করতে হয়। কিন্তু কি হলো? দলে ফিল্যান্ডার ভিন্ন রংয়ের বলে খেললো। আর অ্যাবোট সাদা তাই খেলতে পারলো না। সেমিফাইনালে চারজন ভিন্ন রংয়ের ক্রিকেটার খেললো। এই সিদ্ধান্তটি কি ক্রিকেটের জন্য ভালো হলো?’
দক্ষিণ আফ্রিকা ওই ম্যাচে শেষ বলে হারে এবং ডি ভিলিয়ার্স হারের দায় পুরো দলেরই কাঁধেই ফেলেছেন, ‘কাইলের বদলে ভারননকে নেওয়ায় আমরা হারিনি। পাঁচটি সুযোগ—দুটি ক্যাচ ও তিনটি রানআউটের সম্ভাবনা নষ্ট হওয়াতেই হেরেছি আমরা।
এত হতাশার পরও ডি ভিলিয়ার্স নিজেকে আবারও ফিরে পেতে চান। তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তার ‘জ্বলন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা’। যেখানে ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
এমআর/পিআর