৩৩ বছরের ইকুয়েডর রহস্য কাটাতে পারবেন নেইমার!
বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট খেলাধুলার আসর অলিম্পিকে যা পারেননি পেলে-রোমারিও-রোনালদো-রোনালদিনহোরা, তা করে দেখিয়েছেন নেইমার। অনেকটা ‘আনকোড়া’ দল নিয়েও এই আসরে ব্রাজিলকে সোনা এনে দিয়েছেন তিনি। শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও শেষটা করেছেন দারুণভাবে।
এবার নেইমারের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। প্রায় ৩৩ বছর কেটে গেলো, ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোতে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি ব্রাজিল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) সেই কিটোতে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে সেলেকাওরা। ভক্তদের প্রশ্ন, ৩৩ বছরের ইকুয়েডর রহস্য কাটাতে পারবেন কি নেইমার?
কিটোতে ব্রাজিলের সর্বশেষ জয়টা ১৯৮৩ সালে, ১-০ গোলে। এরপর থেকে কিটোতে কী হলো ব্রাজিলের? জয়ের মুখ তো দেখছেই না। উল্টো হারের লজ্জা নিয়েও দেশের বিমান ধরতে হয়েছে তাদের। ২০০১ ও ২০০৪ সালে ইকুয়েডরের কাছে সেলেকাওরা হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটিও ছিল গোলশূন্য ড্র।
এবার নতুন কোচ তিতের অধীনে খেলতে নামবেন নেইমাররা। একুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের মধ্য দিয়েই ব্রাজিলের কোচ হিসেবে অভিষেক ঘটবে তিতের। নেইমাররা চাইবেন, নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে নতুন গুরুর অভিষেকটা রাঙিয়ে দিতে। সেজন্য নাকি শিষ্যদের কাছে পুরনো কাজের ভিডিও বার্তা দিয়ে অনুপ্রাণিত করছেন ৫৫ বছর বয়সী করিন্থিয়ান্সের সাবেক কোচও।
সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় কাসেমিরো বলেন, ‘আমাদের এখানে আসার আগে এরই মধ্যে তিনি (তিতে) আমাদেরকে একটা ভিডিও পাঠিয়েছেন। এটা গোপন কিছু নয়। এখন তার সঙ্গে কথা বলে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, তিনি কী চাচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে তার চাওয়া সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে যে আমরা এখানে এসেছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের প্রথম চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। পঞ্চম দলটিকে খেলতে হবে প্লে-অফ। ব্রাজিলের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। ৬ ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে তারা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের অর্জন ১১ পয়েন্ট। এর মধ্যে তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে, ২টিতে হেরেছে। আর ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এক ম্যাচে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে উরুগুয়ে। সুয়ারেজদের সঞ্চয় ১৩ পয়েন্ট।
এনইউ/আরআইপি