ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

জাতীয় ফুটবল দলে দিদার : রামুতে উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন কক্সবাজারের রামুর কৃতী ফুটবলার দিদারুল আলম। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ বিমানযোগে মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ১ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের সাথে ফুটবল ম্যাচে অংশ নেবেন রামুর ছেলে দিদার।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ সেন্ট ফিট দিদারুল আলমসহ ২৩ জনের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করেন। তার জাতীয় দলের অন্তর্ভুক্তির খবরে রামুর ক্রীড়ামোদীসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ফুটবলার দিদারুল আলম রামু উপজেলার ফতেখারকুল ইউনিয়নের পূর্ব দ্বীপ ফতেখারকুল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল জলিল ও গৃহিণী ছলিমা খাতুনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দিদারুল চতুর্থ। রামু আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি ফুটবলের ক্যারিয়ার শুরু করেন।

এর আগে দিদার চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল দল ফটিকছড়ির হয়ে এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লি. (জুনিয়র) এর হয়ে চট্টগ্রাম প্রথম বিভাগ লিগে অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বাংলাদেশ পেশাদার লিগে ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ২০০৭-০৯ পর্যন্ত তিন মৌসুমে খেলার পর চলে যান টিম বিজেএমসিতে। এরপরে রহমতগঞ্জের হয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলেন। সর্বশেষ তিনি ছিলে ঢাকা রহমতগঞ্জ ক্লাবের ফুটবলার।

শুধু দিদারই নন, তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমও পেশাদার ফুটবলার। রামু কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি জাহাঙ্গীর ঢাকা রহমতগঞ্জের হয়ে চলতি বছর স্বাধীনতা কাপ ও ফেডািরেশন কাপে অংশ নেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে তিন বছর পেশাদার লিগে অংশ নেন।

এর মধ্যে শেষের একবছর চট্টগ্রাম আবাহনীর সহ-অধিনায়কও ছিলেন। ২০০৯ থেকে ৬ বছর তিনি রহমতগঞ্জের হয়ে খেলেন। এর মধ্যে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রহমতগঞ্জের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ূয়া অপু ও রামুর সাবেক কৃতি ফুটবলার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া মঙ্গল বলেন, দিদারুল আলম কক্সবাজারের অহংকার। এরআগে কক্সবাজার জেলা থেকে সুনীল এবং সবুজ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর দিদারই জাতীয় ফুটবল দলে অন্তর্ভুক্ত হল। দিদার জেলাবাসীকে গর্বিত করেছে।

দিদারের জাতীয় দলে যুক্ত হওয়ার খবরটি তার বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। এরপর থেকে আত্মীয় ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানানোর তালিকা কেবল দীর্ঘ হচ্ছে। তারাও দিদারকে রামু তথা কক্সবাজারের গর্ব উল্লেখ করে জাতীয় ফুটবল দলের সাফল্য কামনা করেন।   

সায়ীদ আলমগীর/আইএইচএস/এবিএস

বিজ্ঞাপন