রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়
দলীয় রানের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৯ রানের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। আর এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেতে ৩-০ তে সিরিজ জিতে মরগানের নেতৃত্বাধীন দল।
নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জেসন রয়। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে হেলসের জুটি ২৪৮ রানের। ৮৬ বলে ৮৫ করে আউট হন রুট। এই দুজনের বিদায়ের পর পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের উপর চড়াও হন হেলস। ৫৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করা হেলস ৮৩ বলে করেন সেঞ্চুরি। সেখানেই না থেমে ছাড়িয়ে যান ইংল্যান্ডের হয়ে আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রবিন স্মিথের ১৬৭ রানকে। ১২২ বলে ১৭১ করে আউট হন হেলস। ৪টি ছক্কার পাশে মেরেছেন ২২টি বাউন্ডারি।
হেলসের বিদায়ের পর উইকেটে নেমেই বোলারদের উপর চড়াও হন বাটলার। উইকেটে নেমেই জোড়া ছক্কা মারেন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজকে। একটু পর শোয়েব মালিকের এক ওভারে চারটি ছক্কায় বাটলার স্পর্শ করেন অর্ধশতক। মাত্র ২২ বলে, ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে যা দ্রুততম।
আরেক পাশে মরগানও চালিয়েছেন তাণ্ডব। অর্ধশতক করেছেন ২৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ২৭ বলে ৫৭ করে অপরাজিত মরগান। আর ৭টি করে চার ও ছক্কায় ৫১ বলে অপরাজিত ৯০ বাটলার। চতুর্থ উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রান এসেছে মাত্র ৭২ বলে ১৬১। শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ড তুলে ১৩৫ রান। আর এতেই শ্রীলংকার সর্বোচ্চ ৪৪৩ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে ৪৪৪ রানের নতুন রেকর্ড গড়ে স্বাগতিকরা।
ইংল্যান্ডের দেওয়া ৪৪৫ রানের রেকর্ড টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পরে সফরকারী পাকিস্তান। দলীয় ২১ রানে ক্রিস ওকসের বলে মইন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮ রান করে ফেরেন পাক ওপেনার সামি আসলাম।
এরপর অধিনায়ক আজহার আলী এবং আরেক ওপেনার সারজিল খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ৫০ রানে আজহার ক্রিস ওকসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে গেলে আবারও বিপর্যয়ে পরে পাকিস্তান। সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে তুলে আনেন সারজিল। মাত্র ৩০ বলে ৫৮ রান করে ওকসের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর থেকেই শুরু হয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে আশা যাওয়ার মিছিল। দলের রান দেড়শো পার হতেই ইংলিশদের বোলিং তোপে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। শেষ দিকে মোহাম্মদ আমির ৫৮ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে স্পিনার ইয়াসির শাহকে সাথে নিয়ে দশম উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়ে প্রায় একাই দলকে টেনে নিয়ে যান আমির। এরই সাথে পাকিস্তানকে আড়াইশো রানের কোটাও পার করান তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিস ওকসের বলে আউট হয়ে ফিরে গেলে ২৭৫ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে ১৬৯ রানের বিশাল জয় পায় ইংলিশরা। ইংলিশদের পক্ষে ক্রিস ওকস ৪ টি এবং আদিল রশিদ ২ টি করে উইকেট শিকার করেন।
এমআর/পিআর