মাশরাফিদের বর্তমান বোলিং কোচ ভিল্লাভারায়ন!
কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশ দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের। তবে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। ডান হাতে পেস বোলিংই করতেন তিনি। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ না থাকায় পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে মাশরাফি-আল-আমিনদের দায়িত্ব নিলেন তিনি। সাময়িকভাবে এ লঙ্কানের কাছেই বাংলাদেশের পেসাররা টিপস নিচ্ছেন বলে জানান বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পেসার আল-আমিন হোসেন।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দলের হয়ে অনুশীলন করতে আসেন আল-আমিন। অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, ‘আপাতত ট্রেনার (ভিল্লাভারায়ন) টুকটাক আমাদের হেল্প করছে। তিনি খুব সম্ভাবত পেস বোলার ছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন খেলেছেন। যতটুকু পারেন, ততটুকু চেষ্টা করছেন।’
তবে পেস বোলিং কোচ না থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছেনা বলে জানান আল-আমিন। কিছুদিন আগেই সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ। তার কাছ থেকে নেওয়া টিপস কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া হিথ স্ট্রিক যে বিষয়গুলো শিখিয়েছেন, তা ঝালাই করে যাচ্ছেন তারা।
‘আকিব জাভেদ কিছুদিন আগে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। হিথ স্ট্রিকও কাজ করেছেন অনেক দিন আগে। যে বিষয়গুলো আমাদের শিখিয়েছেন, যে বিষয়গুলো করে আমরা সব সময় সাফল্য পেয়েছি সেই বিষয়গুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।’
এছাড়াও নিজেরা নিজেদের কাজে সাহায্য করছেন বলে জানালেন আল-আমিন। নিজেদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে কাজগুলো করছেন বলে জানান তিনি। সেক্ষেত্রে সিনিয়র বোলাররা তাদের দারুণ সহায়তা করেন বলেও জানান এ পেসার।
‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি নিজেদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরী করতে। ব্যাটসম্যানদের কে কতবার আউট করতে পারি। কে কত ভালো জায়গায় বল করতে পারি। কে ভালো করছে, কে খারাপ করছে, কারো কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। যেমন রুবেল ভাই বলল যে দেখ আমি একটা স্লোয়ার মারছি সেটা জায়গায় পড়ছে কিনা। এগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি।’
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কিছু দিন পরই বাংলাদেশকে না বলে দেন পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। এরপর থেকে কোচ খুঁজে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিছুদিন আগেই বিসিবি থেকে জানায় দুই একদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে কে হচ্ছেন নতুন পেস বোলিং কোচ।
আরটি/এনইউ/আরআইপি