জিদানেই নিহিত রিয়ালের সাফল্য : রোনালদো
কার্লো আনচেলত্তিকে বাদ দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে যখন রাফায়েল বেনিতেজকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছিল, তখন কোনভাবেই যেন ক্লাবের সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে পারছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার এই অখুশি হওয়ার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সেও। শেষ মৌসুমের মাঝ পথেই বিদায় বেনিতেজ। কোচ হিসেবে মাঝ পথে রিয়াল মাদ্রিদের ডুবতে যাওয়া তরীকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন জিনেদিন জিদান।
এরপর বাকি ইতিহাস সবারই জানা। স্প্যানিশ লা লিগায় শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতা সম্ভব না হলেও লিগের লড়াইটা নিয়ে গিয়েছিলেন একেবারে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো দলকে চ্যাম্পিয়ন করেই ছাড়লেন জিদান। ফুটবলার হিসেবে যেমন ছিলেন, কোচ হিসেবেও যেন সোনার চামুচ মুখে দিয়েই অভিষেকটা হয়ে গেলো জিদানের।
তার সেই সাফল্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিজে। তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের যে সাফল্য, এর পুরো কৃতিত্বই কোচ জিনেদিন জিদানের। তার মধ্যেই নিহিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদের সাফল্য। তিনিই কিভাবে জিততে হবে, সে পথ রচনা করিয়ে দিয়েছিলেন।’
সতীর্থ গ্যারেথ বেল, অ্যালেটিকো মাদ্রিদের আন্তোনিও গ্রিজম্যানসহ রিয়াল মাদ্রিদের এই উইঙ্গার- এই তিনজন মনোনয়ন পেয়েছেন ইউরো সেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তিনজনের তালিকায়। বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্রয়ের দিন মোনাকোয় ঘোষণা করা হবে ইউরোপ সেরা ফুটবলারের নাম।
ইউরোপ সেরার এই পুরস্কারটি ওঠার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হাতেই। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং পর্তুগালকে জিতিয়েছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে, এসবের দিকে যেন কোন নজর নেই সিআর সেভেনের। কারণ, তিনি দেখছেন তার এই সাফল্য এসেছে মূলত জিদানের কারণেই। মৌসুমের মাঝ পথে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরই সাফল্য আসতে শুরু করে।
ওয়ার্ল্ড সকার ম্যাগাজিনকে রোনালদো বলেন, ‘এটা এমন একটি বছর, যেটাতে আসলে সবকিছুরই স্কাদ পেয়েছি আমরা। আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি। কিংবা আমরা যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে শুরু করতে পারিনি; কিন্তু শেষটা করেছি দুর্দান্ত। এটাই ছিল পুরো মৌসুমের মূল। আমার বিশ্বাস, সাফল্যটা জিদানের সঙ্গে সঙ্গেই আগমণ ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দল উন্নতি করেছে।’
আইএইচএস/এবিএস