মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল নিয়ে উচ্ছসিত আকরাম খানরা
১৯৯৭ সালে আইসিসি কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সৃষ্টি হয় নব জাগরণ। যে জাগরনের ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপে খেলা, ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাসপ্রাপ্তি। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে আজকের দুর্ধর্ষ বাংলাদেশ, যারা এখন পৃথিবীর যে কোন দলের চোখে চোখে রেখে লড়াই করে। নতুন এ বাংলাদেশের শুরুটা তখন হয়েছিল আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, খালেদ মাসুদ পাইলট বা নাঈমুর রহমান দুর্জয়দের মত সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের হাত ধরে। তবে, তারা হারিয়ে যাননি। ব্যাট-বলের ঝঙ্কার তুলতে আবারও বাইশ গজে ফিরছেন তারা।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের কাছে আকরাম-দুর্জয়দের কীর্তি অনেকটাই অজানা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের কিংবদন্তিতুল্য পুরুষদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দারুণ এক সুযোগ পাচ্ছে নতুন এই প্রজন্ম, মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল (এমসিসি) নামের একটি টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকে শুরু হবে তিনদিন ব্যাপি এই টুর্নামেন্টটি। সেমিফাইনাল পর্যন্ত মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজারে। এরপর ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। প্রতিটি ম্যাচ হবে ২৫ ওভারের।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের হলেও ২৫ ওভারের এই টুর্নামেন্ট, এমসিসিতে অংশ নিচ্ছে মোট ছয়টি দল- লঙ্কাবাংলা অল স্টার্স, ইসপাহানি চিটাগং মাস্টার্স, জেবি ঢাকা ডিভিশন, কনফিডেন্স গ্রুপ ঢাকা মেট্রো, জেমকন খুলনা ও রেনেঁসা রাজশাহী। দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে লঙ্কাবাংলা অল স্টার্স, ইসপাহানি চিটাগং মাস্টার্স ও রেনেঁসা রাজশাহী। ‘বি’ গ্রুপে খেলবে জেবি ঢাকা ডিভিশন, কনফিডেন্স গ্রুপ ঢাকা মেট্রো ও জেমকন খুলনা।
এ আসরের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে থাকছে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। তাদের সঙ্গে রয়েছে স্ক্যান সিমেন্ট। মঙ্গলবার বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় টুর্নামেন্টের বিস্তারিত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন ও খালেদ মাসুদ পাইলটরা। এর আগে দল নির্বাচনের জন্য অনুষ্ঠিত হয় প্লেয়ার্স ড্রাফট।
এমসিসির আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাবেক এই তিন অধিনায়কই। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আকরাম খান বলেন, ‘এই আসরের মাধ্যমে আমরা সাবেক ক্রিকেটাররা আবার একসঙ্গে হতে পারবো। পুরনো অনেক স্মৃতি আবার ফিরে আসবে। আমার মনে হয়, এই ধরনের আসর বারবার হওয়া উচিত।’
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘এই আসরের মাধ্যমে একটা ফান্ড গঠন করা হবে। যা সাবেক ক্রিকেটারদের কোনো বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।’
‘এমন একটি আসর নিঃসন্দেহে দারুণ উদ্যোগ। আমরা আবার একসঙ্গে খেলতে পারবো, এটা কখনো মনে হয়নি; কিন্তু এমসিসির মাধ্যমে ব্যাপারটা সত্য হলো’- বললেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
উল্লেখ্য, এ টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে সাবেক ক্রিকেটারদের জন্য একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করা হবে। যা দিয়ে যে কোন খেলোয়াড়ের বিশেষ প্রয়োজনে, বিপদে-আপদে সহয়তা করা হবে।
আরটি/আইএইচএস/এমএস