প্রশংসায় ভাসছেন নেইমাররা
যুগ যুগ ধরে বয়ে বেড়ানো হাহাকারের অবশেষে পরিসমাপ্তি ঘটালেন নেইমার। রোমারিও, রোনালদিনহো কিংবা রোনালদোরা যা পারেননি, অবশেষে নেইমার এসে সেটা পারলেন। প্রথমবারেরমত ব্রাজিলকে এনে দিলেন অলিম্পিক ফুটবলের সোনা। জার্মানিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে প্রথমবার অলিম্পিক ফুটবলে সোনালি হাসি হাসলো ব্রাজিল।
ব্রাজিলের চীরকালের আক্ষেপ ঘোচানোর পর প্রশংসার জোয়ারে ভাসতে শুরু করে দিয়েছেন নেইমাররা। ফেসবুক-টুইটার থেকে শুরু করে সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠছে নেইমারদের উদ্দেশ্যে অভিনন্দন বার্তা দিয়ে। সাবেক তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে হলিউডের সেলিব্রিটি- কেউ বাদ যাচ্ছেন না, এই প্রশংসানর মিছিলে যোগ দিতে।
সবচেয়ে বড় কথা, ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে পরাজয়ের যে লজ্জা ব্রাজিলের, সেটা একটু হলেও অন্তত কমাতে পেরেছে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে সেই জার্মানিকে হারিয়ে। অভিনন্দন বার্তাটা এ কারণেই সবচেয়ে বেশি।
হলিউড অভিনেতা এবং পরিচালক স্যামুয়েল এল জ্যাকসন টুইটারে নেইমারদের অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘ব্রাজিলকে সোনা এনে দিলেন নেইমার!!! ফুটবলের ধর্মের সংস্কৃতিতে স্বাগতিক দেশের গুরুত্ব কতটুকু সেটা আবারও বোঝা গেলো।’
ব্রাজিলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উসাইন বোল্টও। টুইটারে নেইমারের গোল উদযাপনের একটি ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলে সোনা জয়ের কারণে ব্রাজিল ফুটবল দলকে অভিনন্দন।’
পেলে তো সবার চেয়ে এককাঠি এগিয়ে থাকবেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘মারাকানায় আমার জীবনে অনেক স্মৃতি জড়ো হয়ে আছে। আজ (শনিবার রাতে) আরও একটি নতুন স্মৃতি যুক্ত হলো। কী অসাধারণভাবেই না, অলিম্পিক গেমস শেষ হচ্ছে।’
ইংলিশ কিংবদন্তী ফুটবলার গ্যারি লিনেকার অবশ্য পুরো খেলাটা দেখে মনে হচ্ছে কিছুটা বিরক্ত। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অলিম্পিক ফুটবলের এই ফাইনালটি এমন একটি ম্যাচ যেখানে ২২ জন ফুটবলার ১২০ মিনিট ধরে একটি ফুটবলকে ঘিরে লাথালাথি করেছে এবং পেনাল্টি শ্যুটআউটের মধ্য দিয়ে সোনাটা গেলো ব্রাজিলের কাছে।’
ফার্নান্দিনহো লিখেছেন, ‘অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এগিয়ে যাও তোমরা।’ ব্রাজিলকে অভিনন্দন জানিয়েছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশনও। নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে তারা লিখেছে, ‘নিজেদের মাঠে অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জয়ের জন্য ব্রাজিলকে অভিনন্দন।’
আমেরিকান নারী ফুটবলার কার্লি লয়েড লিখেছেন, ‘নেইমারের জন্য খুব ভালো লাগছে। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এর চেয়ে ভালো মঞ্চ যেন তার সামনে আর ছিল না। যখন সবাই তাকে ভুল বুঝতে শুরু করেছিল। অভিনন্দন ব্রাজিল।’
আইএইচএস/এমএস