এক ব্রোঞ্জেই আড়াই কোটি রুপি এবং চাকরি
মাত্র একটি ব্রোঞ্জ পদক। এই এক ব্রোঞ্জ পদকই সাক্ষী মালিক নামক ভারতীয় এক কুস্তিগীরের কপাল খুলে দিয়েছে। রিও অলিম্পিক গেমসে অনেককে ঘিরেই পদকের স্বপ্ন দেখেছিল ভারত; কিন্তু কেউ পারেনি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে। অবশেষে সাক্ষী মালিক নামক এক নারী কুস্তিগীর ভারতের আক্ষেপ ঘোচালেন। জিতলেন একটি ব্রোঞ্জ পদক।
এই এক ব্রোঞ্জ পদক জয়ের পর তিনি যেভাবে ভারতে জাতীয় নায়কে পরিণত হয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে ভারতের রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রীড়া কর্মকর্তা- সবাই অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসাচ্ছেন সাক্ষীকে।
তবে সবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে সাক্ষী মালিকের রাজ্য হরিয়ানা সরকার। তাকে পুরস্কার হিসেবে আড়াই কোটি টাকা এবং একটি চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যটির সরকার। শুধু তাই নয়, হরিয়ানায় তাকে ঘিরে ইতোমধ্যে উৎসবও শুরু হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘ইতিহাস গড়লেন সাক্ষী। তোমার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পুরো দেশ।’ বৃহস্পতিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার ফোন করে অভিনন্দন জানান সাক্ষীর মা-বাবাকে। রাজ্যের আরেক মন্ত্রী মনীশ গ্রোভারও সাক্ষীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অলিম্পিকে পদক জয়ের পর সাক্ষী বলেন, ‘আমি অলিম্পিকে পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা হবো, ভাবতেই পারিনি। আশা করি, বাকি কুস্তিগীররাও এর ফলে অনুপ্রাণিত হবে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফল করবে। আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছি। জানতাম, শেষ ৬ মিনিট যদি লড়াই চালিয়ে যেতে পারি, তাহলেই জিতবো। আত্মবিশ্বাসের ফল পেলাম।’
সাক্ষীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটারে ক্রিকেটার বিরেন্দ্র শেবাগ লেখেন, ‘শিশুকন্যাকে মেরে না ফেললে কী হয়, তা প্রমাণ করলেন সাক্ষী।’
আইএইচএস/এবিএস