ইংল্যান্ডের সব চাহিদাই পূরণ করতে সক্ষম বিসিবি
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কারণে শঙ্কা তৈরি হয়েছে এই সিরিজ নিয়ে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল সিরিজটি খেলতে বাংলাদেশে আসবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
এ কারণেই বুধবার বাংলাদেশে তিন সদস্যের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রতিনিধি দলের সামনে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে নিয়ে করা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার পরিকল্পনা তুলে ধরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তাদের বাড়তি চাহিদা থাকলে সে সব চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম বাংলাদেশ- এমনটাই জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেভাবেই আমাদের পরিকল্পনা। এছাড়া তারা যদি বাড়তি কিছু চায়, সেক্ষেত্রে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সে ব্যাপারে সরকার থেকেও আমাদের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। আমরা ওদের যে কোন চাহিদাই পূরণ করতে সক্ষম।’
সাম্প্রতিক সময়ের জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের আগমনকে সেভাবে নিতে নারাজ সুজন। প্রতিটি সিরিজের আগে স্বাভাবিক নিয়মেই ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা পরিদর্শক দল এসেছে বলে জানান তিনি।
‘রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা পরিদর্শক দল। ইংল্যান্ড দল যেখানে খেলবে, সে সমস্ত জায়গা ও ভেন্যু পরিদর্শন করবে তারা। হোটেল এবং অনুশীলন সুবিধাগুলোও পর্যবেক্ষণ করবে।’
‘এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা, মেডিকেল পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, হোটেল, অনুশীলন সুবিধা এ সকল দিক দেখেই বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে ইংল্যান্ডের বিশেষ এ প্রতিনিধি দল। তবে তারা ইংল্যান্ড ফিরেই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
‘কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু হওয়ার আগে এটা একটি প্রক্রিয়া। যে কোন সফরের আগেই এটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সফরের পর পরই ওদের ভারতে সফর রয়েছে। ইতোমধ্যেই ভারত সফর শেষ করে এসেছে প্রতিনিধি দলটি। দেশে ফিরে গিয়েই হয়তো রিপোর্ট দেবে। আশা করি দ্রুতই আমরা এ ব্যাপারে জানতে পারবো।’
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি