রিও অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধন
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে পর্দা উঠলো এবারের রিও অলিম্পিকের। এই অলিম্পিককে বলা হয়ে থাকে ‘গ্রেটেস্ট শো আন আর্থ’; বহু আগে প্রাচীন গ্রিসের ঈশ্বরদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে এর সূত্রপাত।
বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৫টায় মারাকানা স্টেডিয়ামে এই গ্রেটেস্ট শো আন আর্থের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে হাজির হয়েছিলেন ৬০ হাজার দর্শক। ঘরে বসে টেলিভিশনের পর্দায় তা উপভোগ করেছেন ৩ বিলিয়ন দর্শক।
রীতি অনুযায়ী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিটি দেশের প্রতিযোগীরা নিজ দেশের পতাকা হাতে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন। বলা হয়ে থাকে পুরানকথা, ঐতিহ্য, ইতিহাস সবই একাকার হয় এই অলিম্পিকে।
এবারের অলিম্পিকের আসর নিয়ে শুরু থেকেই বেশ শঙ্কা ছিল। দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশে এবারই প্রথম বসলো অলিম্পিকের আসর। তবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, পানি দূষণ, বাজেট কাটছাঁট, সব মিলিয়ে প্রতি পদক্ষেপে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আয়োজক দেশ ব্রাজিলকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের ২০০’র বেশি দেশের অ্যাথলেট। এতে তুলে ধরা হয় ব্রাজিলের বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ইতিহাস।
এটি অলিম্পিক গেমসের ৩১তম আসর আর এই আসরে প্রথমবারের মতো প্যারেডে অংশগ্রহণ করে শরণার্থীদের একটি দল।
অলিম্পিকের মতো একটি বড় আসরের আয়োজক হতে পেরে ব্রাজিল গর্বিত। তারপরও এমন আয়োজনের বিরুদ্ধে দেশটিতে প্রতিবাদ এসেছে বারবার। ব্রাজিলে এই আয়োজনের যারা বিরোধিতা করছেন তাদের মূল বক্তব্য হলো- এমন আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের জন্য যে বিরাট অর্থ খরচ হলো তা ব্রাজিলের দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কাজে লাগানো যেত।
‘গ্রেটেস্ট শো আন আর্থ’ খ্যাত এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের ১০০টি স্টেটের প্রধানদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শেষ পর্যন্ত ২৫টি স্টেট থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে এবারের অলিম্পিকে মশাল প্রজ্বলন করবেন বলে প্রথমে জানানো হলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত মশাল প্রজ্বলন থেকে বিরত থাকেন।
এনএফ/আরআইপি