বৃহস্পতিবারই শুরু নেইমারদের অলিম্পিক
বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে অলিম্পিকের উদ্বোধন; কিন্তু নেইমারদের সোনা জেতার চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকেই। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
অলিম্পিক ফুটবলের সব আকর্ষণের কেন্দ্রে নেইমার। এবারের ইভেন্টে একমাত্র সুপারস্টার। আর তার দেশের কাছেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব বিশাল। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘরে এখনও অলিম্পিক সোনা নেই। লন্ডন অলিম্পিকে জিওভানি দস সান্তোস, রাউল জিমেনেসদের মেক্সিকোর কাছে হেরে রুপো জিতেছিল ব্রাজিল। নেইমারের কাঁধে ভর করে সেই দুর্ভাগ্য এবার কাটাতে চায় সেলেসাওরা।
নেইমারের সঙ্গে গাব্রিয়েল জেসাস, গাব্রিয়েল বার্বোসাদের নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রত্যাশার পাহাড়ে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা। নেইমারের কাফ মাসলে যে ট্যাটু, জেসাস নিজের হাতে একই ট্যাটু করিয়েছেন। একটি বাচ্চা ছেলে হাতে ফুটবল নিয়ে তাকিয়ে আছে একটি ছোট শহরের ঘরবাড়ির দিকে।
এই বন্ধুত্বেই ভরসা ব্রাজিলীয়দের। গ্রুপ খুব কঠিন নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া গ্রুপ এ-তে ব্রাজিলের সঙ্গে আছে ইরাক ও ডেনমার্ক। অলিম্পিকের প্রথম ম্যাচ ইরাক বনাম ডেনমার্ক। কোচ রদ্রিগো মিকালে ইতিমধ্যেই ছাপ ফেলেছেন ব্রাজিল দলে। ফরোয়ার্ড লাইন শক্তিশালী হওয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচে ৪-২-৪ ফর্মেশনে খেলাতেও পিছপা হননি দলকে।
একটাই খারাপ খবর, টিমের এক নম্বর গোলকিপার ফার্নান্দো প্রাস চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন। বদলি হিসেবে এসেছেন ওয়েভার্টন। উইঙ্গার ডগলাস কস্তাও খেলতে পারবেন না অলিম্পিকে। তবু আক্রমণের ধারেই বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে রাখছে ব্রাজিলকে।
শুধু ব্রাজিল নয়, প্রথম দিন নামছে ইভেন্টের ১৬টি দলই। যার মধ্যে আছে রোনালদো এবং মেসির দেশ পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচও। আর্জেন্টিনা দু’বারের সোনাজয়ী। শেষবার মেসি, মাচেরানোরা সোনা দিয়েছিলেন বেইজিং অলিম্পিকে, ২০০৮ সালে।
এবার আর্জেন্টিনা দলের আকর্ষণ দুই প্রতিভাবান ফরোয়ার্ড। দু’জনেরই বয়স ২১। একজন অ্যাঞ্জেল কোরিয়া। যিনি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে খেলছেন এখন। অন্যজন, জিওভানি সিমিওনে। যার বাবা সাবেক আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিয়নের দখলে আবার অলিম্পিক রুপো আছে।
ছেলে বাবার কৃতিত্বকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন কি না দেখার অপেক্ষায় গোটা আর্জেন্টিনা। মেসি পরবর্তী সুপারস্টারের সন্ধানও তো করতে হচ্ছে জাতীয় দলের সমর্থকদের।
এ রকম এক-দু’জন তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে প্রতি দলেই। নাইজেরিয়ায় যেমন জন ওবি মিকেলকে। চেলসির এই ফুটবলারকে কোচ আন্তোনিও কন্তে বলেছেন, ব্রাজিল থেকে সোনা জিতে ফিরতে। ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আছেন কিগান ডলি।
এই উইঙ্গার দেশে লিগ জিতেছেন মামেলোদি সান্ডাউন্সের হয়ে। ইরাক দলে ধুর্গম ইসমাইল আবার ২১ বছরেই এশিয়ার অন্যতম সেরা লেফটব্যাক। ফুলহ্যামের মিডফিল্ডার ল্যাস ভিগেন ক্রিস্টেনসেন ডেনমার্কের ভরসা। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের দেশের দল সুইডেনে সুযোগ পেয়েছিলেন সাবেক সুইডিশ তারকা হেনরিক লার্সনের ছেলে জর্ডান।
কিন্তু তার ক্লাব হেলসিংবার্গে মাত্র দু’জন ফরোয়ার্ড থাকায় সেই ক্লাবের কোচ অলিম্পিক দল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন ফরোয়ার্ড জর্ডানকে। ঘটনাচক্রে, হেলসিংবার্গের কোচ জর্ডানের বাবা হেনরিকই। কলম্বিয়া দলের তারকা সেন্টার ফরোয়ার্ড তিওফিলো গুতিয়েরেস।
যিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়া দলে ছিলেন। কোরিয়ান দলে থাকছেন টটেনহ্যামের ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন।
আইএইচএস/এবিএস