পেসারদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করেন শফিউল
মোস্তাফিজ-তাসকিনদের উত্থানে গত বছর থেকেই বাংলাদেশ দলে জায়গা পেতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হচ্ছে পেসারদের। দলে যে সুযোগ পাচ্ছেন সেই দুর্দান্ত পারফর্যান্স করে চলেছেন। তাই দলে জায়গা পেতে নিজেদের সেরাটাই দিতে হচ্ছে পেসারদের। গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলে অনিয়মিত হলেও এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দারুণ উপভোগ করছেন শফিউল ইসলাম। তার মতে এতে নিজেদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বাংলাদেশ দলেরও পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পেস বোলারদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পে আসেন শফিউল। আকিব জাভেদে অধীনে অনুশীলনের পর বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ জিনিসটা আমার খুব ভালো লাগে। পেছনে যত মানুষ থাকবে নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারবো। আগে প্রতিযোগিতা কম ছিল। বাংলাদেশের এখন যে অবস্থা, একজনের পেছনে পাঁচজন আছে। আমি খারাপ করলে আরেকজন চলে আসবে। এতে পারফরম্যান্স বেশি ভালো করতে হয়। এ কারণেই বাংলাদেশ সাফল্য পাচ্ছে।’
তবে শুধুমাত্র পেসারদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখছেন না শফিউল। ব্যাটসম্যান এবং স্পিনারদের মধ্যেও এ প্রতিযোগিতা দেখছেন তিনি। তারমতে এখন বাংলাদেশ দলে যে কোন পজিশনে জায়গা পেতে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়। এটাকে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক মনে করছেন তিনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছেন এ পেসার।
‘ওপেনার কিংবা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, এমনকি স্পিনার বা পেসারের পেছনে চার-পাঁচজন আছে। একজন বেরিয়ে গেলে আবার ফেরা কঠিন। আমি নিজের কাজ করে যাচ্ছি। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা করবো। চ্যালেঞ্জ জিনিসটা আমার ভালো লাগে।’
জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে শফিউলসহ নয়জন পেসার রয়েছেন। তবে জাতীয় দলে ৪/৫ জনের বেশি জায়গা পাবেন না জানেন শফিউল। এমনকি এ ৪/৫ জনের তালিকায়ও নিজেকে দেখছেন না তিনি। তবে সুযোগ পেলে সেরাটাই দিয়ে দলে জায়গা ধরে রাখার প্রত্যয় প্রকাশ করেন এ পেসার।
‘এখন আমরা ৭ থেকে ৯ জন পেসার আছি। সবাই তো আর একাদশে থাকবে না। খেলবে ২/৩ জন। স্কোয়াডে থাকবে ৪/৫ জন। যে কজন স্কোয়াডে থাকবে তাদের জায়গাটা শক্ত রাখার চিন্তা করতে হবে। এ জন্য ফিট থাকতে হবে, পারফরম্যান্স ভালো করতে হবে। পেছনে যারা থাকবে, আমাদের চেষ্টা থাকবে, ও খারাপ করলে আমি যেন ঢুকি। আমাকে যেন বের করতে না পারে। এতে দলের পারফরম্যান্স ভালো হবে, হচ্ছেও।’
আরটি/আইএইচএস/এবিএস