‘লড়াই করেই ফিরতে চাই’ - লন্ডন থেকে টেলিফোনে আশরাফুল
নিষেধাজ্ঞা কেটে যাবার ঠিক পাঁচ সপ্তাহ পর বিসিএলে মাঠে নামতে পারবো- এমন আশায় বুক বেঁধেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল; কিন্তু তা আর হচ্ছে না।
লন্ডনে বসে জাগো নিউজের কাছ থেকে টেলিফোনে তিনি শুনলেন, এ নেতিবাচক খবর। জানলেন, নিয়ম-নীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে বিসিএল খেলা হবে না তার। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে যে বিসিএল শুরু, সেখানে তার জায়গা হবে না।
কারণ এ মুহুর্তে তিনি বিসিএলে দল সাজানোর প্রক্রিয়ার বাইরে। নির্বাচকরা একটি ধারা ও প্রক্রিয়ায় বিসিএলে দল সাজিয়ে দেন। যেখানে মুল মানদন্ডই হলো আগে হয়ে যাওয়া জাতীয় লিগে ভাল পারফরম করা।
জাতীয় লিগে যেসব পারফরমার ব্যাট ও বলে নজর কাড়েন, তাদের নিয়েই বিসিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে দল সাজানো হয়। যেহেতু নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের দুই জাতীয় লিগ খেলা হয়নি, তাই তাকে বিবেচনায় রাখার সুযোগই নেই।
খানিক আশাভঙ্গের খবর বৈ কি। ভাবছেন স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় নীল আশরাফুল হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন! নাহ, মোটেই তা নয়। লন্ডন থেকে টেলিফোনে জাগোনিউজের সাথে আলাপে একদম স্বাভাবিক আশরাফুল।
কন্ঠে আত্ববিশ্বাস আর আস্থার সুর, ‘আমি এতটুকু দুঃখ পাইনি। হতাশ হবার প্রশ্নই ওঠে না। একদম স্বাভাবিক আছি। বিশ্বাস করি এটাই তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমি নিষিদ্ধ ছিলাম। মুক্ত হয়ে পরদিনই মাঠে নামবো, আবার সব দলে সুযোগ পাবো- তা কি হয়?’
আশরাফুল নিজেও জানতেন, লড়াই করে ফিরতে হবে তাকে। সেটাই জানালেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে, ‘আমি জানতাম, জানি এবং মানি- আমাকে মাঠে ফিরতে লড়াই করতে হবে। সেভাবেই নিজেকে তৈরী করছি। শারীরিক ও ক্রিকেটীয় প্রস্তুতির পাশাপাশি তাই মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর প্রানপন চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছি।’
অপেক্ষা যে করতে হবে সেটাও জানেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আমাকে কোন বড় আসরে অংশ নিতে খানিক অপেক্ষা করতে হবে এবং লড়াই করেই জায়গা নিতে হবে। সে মানসিক পস্তুতি আছে আমার। নিজেকে সেভাবেই তৈরী করছি।’
দেশ ও বিশ্ব নন্দিত আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে এবং অর্থের বিনিময়ে পাতানো খেলায় অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে হয়েছিলেন নিন্দিত। এবার নন্দিত-নিন্দিত আশরাফুলের সামনে আরেক পরীক্ষা। সে অগ্নি পরীক্ষায় কি উত্তীর্ণ হতে পারবেন? সময়ই তা বলে দেবে।
এআরবি/আইএইচএস/এবিএস