মারাকানার পাশে বোমা বিস্ফোরণ!
হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ। কেঁপে উঠলো সব কিছু। একবারে রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু মারাকানার পাশেই। সবাই আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটিও শুরু করে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এলো অলিম্পিকের জন্য তৈরী ব্রাজিলের বিশেষ ফোর্স। কর্ডন করে ফেলা হলো বিস্ফোরণের জায়গা। রোবট পাঠিয়ে দিলো বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার স্থানে। রোবটের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হলো সেখানে থাকা অবিস্ফোরিত বোমা। আবিষ্কার করা হলো একটি কালো ব্যাগ। খুঁজে দেখা হলো তাতে কিছু নেই।
পাঠক, আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এসবই রিহার্সালের অংশ। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ- রিও অলিম্পিক শুরু হতে বাকি আর মাত্র একদিন। ৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও, ৩ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে যাবে গেমসের কার্যক্রম। শুরু হবে অলিম্পিকের ফুটবল। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে অলিম্পিকের আয়োজক শহর রিও।
মূলতঃ সন্ত্রাসী-জঙ্গী গোষ্ঠি যদি আচমকা কোথাও হামলা করে বসে তাহলে সেগুলো ঠেকানোর কৌশল কী হবে তারই মহড়া দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও ওই সময় মাঠের ভেতর চলছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মহড়া।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিও ভিত্তিক সংবাদদাতা পল কিয়ের্নান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ শুধু নিশ্চিত হতে চাইছিলেন যে, ডেটোনেটর ঠিক মত কাজ করে কি না।’ তিনি আবার পরবর্তীতে টুইটও করেন। সেখানে লিখেন, ‘রিওর মারাকানার পাশে বিস্ফোরণটা ছিল রিহার্সালেরই একটা অংশ। রিওর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে এ তথ্য।’
সিবিএনের রাফায়েল লিল নামে অন্য এক সাংবাদিকও বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, স্টেডিয়ামের ভেতর বিস্ফোরনটা হয়েছে। যে কারণে কেউ কেউ বিস্ফোরনের সংবাদ ফলাও করে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেন, ‘এটা একটা পিউর জোক। ভুয়া সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন। আমি একজন সাংবাদিক এবং ব্রাজিলের এই শহরটিতে রয়েছি। মারাকানায় আসলে কিছুই হয়নি।’
আইএইচএস/এবিএস