নতুন কিছু শিখতে গিয়েই ইনজুরিতে মোস্তাফিজ!
আধুনিক ক্রিকেট অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। খেলোয়াড়দের ম্যাচের ভিডিও নিয়ে প্রতিনিয়ত করা হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। তাই বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে বৈচিত্র্য কিছু আনার কোন বিকল্প নেই। বিশ্বক্রিকেটে নবীন হলেও এ কথা ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। আর তাই বোলিং বৈচিত্র্য বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন তিনি। আর তা করতে গিয়েই মোস্তাফিজ ইনজুরিতে পড়তে পারেন বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে মোস্তাফিজের ইনজুরি প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘মোস্তাফিজ তার বোলিংয়ে নতুন একটা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। ও নতুন নতুন কিছু শিখতে চায়, তাই ব্যাথাটা হয়তো সেখান থেকে আসতে পারে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও হঠাৎ করেই এসেছে, একটু বেশি বোলিং করে ফেলেছে। প্রত্যাশা ও মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে। এমনকি ও যেভাবে স্লোয়ারগুলো মারে তাতে নতুনত্ব আনতে গিয়েও হতে পারে।’
তার বোলিং খেলতে প্রতিপক্ষ দল ভালো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আসেন তা জানেন মোস্তাফিজ। তাই নিয়মিত নতুন নতুন অস্ত্র যোগ করতে চান তিনি। আর তাই সবসময় নিজের বোলিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনেন মোস্তাফিজ- জানান সুজন। আর এ পরিবর্তন আনতে গিয়ে ছোটখাটো ব্যথা পেয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা জাতীয় দলের ম্যানেজারের। শিগগিরই মোস্তাফিজ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন তিনি।
‘ও (মোস্তাফিজ) চায় ম্যাচের মধ্যে নতুন নতুন কিছু করতে, যেটাতে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে পারে। ও জানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিদিন তাকে কেউ না কেউ মনিটর করছে, তার বোলিং সম্পর্কে কিছু জানছে। ও ওটা থেকে ছোটখাটো পরিবর্তন আনতে চায়। হয়তো ওখান থেকে ছোটখাটো একটু লাগতেই পারে; কিন্তু আমার মনে হয় না এমন সিরিয়াস কিছু। সে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে আমি বিশ্বাস করি।’
তবে মোস্তাফিজ কিছুটা ইনজুরিপ্রবণ হলেও বাকি খেলোয়াড়দের ফিটনেসে দারুণ খুশি সুজন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় বড় ম্যাচ খেলতে গেলে ছোটখাটো ইনজুরি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ দলের সকল কোচিং স্টাফরা ঢাকায় চলে আসবেন বলে জানান বিসিবির এই পরিচালক।
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি