মোস্তাফিজ ঝলকে সাসেক্সের জয়
এর আগে ১১ ম্যাচে মাত্র ৪টি জয়। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সাসেক্সের অবস্থান ছিল সাউথ গ্রুপে দলের মধ্যে সপ্তম। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা তাদের নাই বললেই চলে। সেই দলটিকেই এক লাফে ৭ম স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে নিয়ে এলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ম্যাচেই এসেক্সকে হারিয়ে দিলেন ২৪ রানের ব্যবধানে।
কাউন্টি ক্রিকেটের অভিষেকেই চমক দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। ৪ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ২৩ রান। উইকেট নিলেন ৪টি। সবচেয়ে বড় কথা ডেথ ওভারে এসে এসেক্সেও টুঁটি চেপে ধরলেন যেন মোস্তাফিজ। একে তো রান কম দিলেন, সঙ্গে একের পর এক উইকেট তুলে নিলেন। বিশ্বের যেকোনো উইকেটে যে তিনি কত ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ দিলেন কাউন্টিতে অভিষেক ম্যাচে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এসেক্সের সামনে ২০০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়ে দেয় সাসেক্স। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল এসেক্স। পাল্লা দিয়ে বাড়াচ্ছিল দলীয় স্কোর। এক সময় তো মনে হচ্ছিল ২০০ রানই মামুলি তাদের কাছে।
কিন্তু মোস্তাফিজ ঝড় শুরু হতে না হতেই থেমে গেলো এসেক্সের ঝড়। এক তরফা ঝড় বইয়ে দিয়ে থমকে দিলেন এসেক্সের রানের গতি। ডেথ ওভারের তিনটিই করলেন দ্য ফিজ। রান দিলেন ১৯টি। উইকেট চারটি। একটি দলকে হারানোর জন্য এর চেয়ে আর কী বেশি প্রয়োজন হয়!
ফলে ৮ উইকেটে ১৭৬ রানেই থেমে গেলো এসেক্সের ইনিংস। ড্যান লরেন্স সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। ৩২ রান করেন রবি বোপারা। ২৬ রান করেন রায়ান টেন ডেসকাট। কিন্তু মোস্তাফিজের হাতে উইকেট দিতে বাধ্য হলেন বোপারা, ডেসকাট, জেমস ফস্টার এবং কলাম টেলর। শুধু তাই নয়, শুরুতে নিক ব্রাউনের ক্যাচটাও তালুবন্দি করেন কাটার মাস্টার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস জর্ডানের ৪৫, ফিলিপ সল্টের ৩৩, লুক রাইটের ৩২ রানের ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে মোস্তাফিজের দল সাসেক্স।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের ব্যবধানে চার নম্বরে উঠে গেলো সাসেক্স। এরপর আরও দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে তাদের। যদি ওই দুই ম্যাচে জয় পায় তাহলে চারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। এরপরই কোয়ার্টার, সেমি এবং ফাইনাল!!!
আইএইচএস/বিএ