ফিটনেস উন্নতি করার সেরা সুযোগ : ইমরুল
আর একদিন পরই শুরু হবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ব্যাস্ত ছিল ক্রিকেটাররা। এরপর লম্বা ছুটি। অবশেষে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হবে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলন ক্যাম্প। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরুর আগে আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। তিনি ক্যাম্পের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘ফিটনেস লেভেল উন্নতি করার এটাই সবচেয়ে সেরা সুযোগ।’
ফিটনেস ক্যাম্পে অনুশীলন করার সুযোগ থাকছে দীর্ঘ সময়। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চান ইমরুল। ক্যাম্প নিয়ে কী পরিকল্পনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর আবার ফিটনেস ক্যাম্প করছি। এরকম সুযোগ সবসময় আসে না। একবার ফিটনেস ক্যাম্প করলে হয় তো এক-দুই বছর খুব ভালোভাবে ক্রিকেট খেলা যায়। তো প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই আমার মনে হয় গুরুত্বের সাথে ক্যাম্পটা করবে। নিজেদের ক্যারিয়ার এবং ফিটনেসের জন্য কাজ করবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোন আন্তর্জাতিক সূচি নেই। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের পরও লম্বা বিরতি। এরপর আবার যখন ব্যস্তটা শুরু হবে- তখন টানা ব্যস্ততা থাকবে। তখন এই ক্যাম্প কতটা উপকারী হবে? জানতে চাইলে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘সর্বপ্রথম বলবো, আমাদের সামেন যে খেলাগুলো আছে, পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তার আগে নিউজিল্যান্ড সফর। তারও আগে আয়ারল্যান্ডের সাথে খেলা আছে। আমরা সবচেয়ে ভালো সময় পেয়েছি ফিটনেসে উন্নতি করার জন্য। সুযোগ থাকলে প্রতিটা দেশের খেলোয়াড়রাই ফিটনেসে উন্নতি করে। তো আমার মনেহয় এটা সেরা সুযোগ, ফিটনেসে উন্নতি করার।
কন্ডিশনিং ক্যাম্পের শুরুতে ফিটনেস ট্রেনিং। এরপর সূচিতে কী রয়েছে? ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমি এখনো নিশ্চিত নই। আমার মনেহয় ফিটনেস ক্যাম্পের পর ব্যাটিং স্কিল নিয়ে কাজ করবে। তারপর বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে বিসিএল বা সামনে যদি কোনো আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজন করার থাকে, সে বিষয়ে।’
প্রিমিয়ার লিগে কী স্কিলের উন্নতি করার চেষ্টা করেছেন? জবাবে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘অবশ্য সব সময়ই আমরা স্কিল উন্নতি করার চন্য চেষ্টা করি। একটু বিশ্রামে থাকলে আবার জিনিসটার ঘাটতি তৈরী হয়। তো সব সময়ই যখন অনুশীলন করি, দিনে দিনে উন্নতি করার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনেহয় সামনে ফিটনেস ক্যাম্পের পর যখন স্কিল নিয়ে কাজ করবো সবার জন্যই ভালো হবে। ফিটনেস ভালো থাকলে স্কিলও ভালো হয়। স্কিল আরো উন্নতি করার এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ।’
আইএইচএস/এবিএস