ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

দেশমের অনন্য চূড়ায় ওঠার হাতছানি

প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ১০ জুলাই ২০১৬

ফ্রেঞ্চ ফুটবলের যে কয়টি ইতিহাস রচয়িত হয়েছে তার সবগুলোতেই ছিলেন তিনি। প্রথম এবং শেষ ফ্রেঞ্চ ক্লাব হিসেবে মার্শেইর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ম্যাচে অধিনায়কের আর্মব্যান্ডটা ছিল তার হাতে। ১৯৯৩ সালের সেই কীর্তির পাঁচ বছর পর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের রূপকথার দিনে সোনালি ট্রফিতে চুমু খেয়েছেন তিনি। এর ঠিক দুই বছর পর আবারো ফ্রান্সের ট্রফি জয়। এবার ইউরো কাপ উঁচিয়ে ধরেন দিদিয়ের দেশম। আরো একটি ফাইনালে দেশম। এবারও কি শিরোপা জিততে পারবেন দেশম?

Deschamps

আগের সবকয়টি টুর্নামেন্টে ফুটবলার হিসেবে খেললেও এবার মূলত থাকছেন কোচের ভূমিকায়। ডাগআউটের দাঁড়িয়ে তার এমন সাফল্য হয়তো অন্যদের চমকে দিবে। অথচ এই দেশমকেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দল নির্বাচন নিয়ে এক হাত নিয়েছিল সবাই।

কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত করিম বেনজেমাকে দলে নেননি, দলে ফিরতে চাওয়া ফ্রাঙ্ক রিবেরিকেও উপেক্ষা করেছেন। এছাড়া মিডফিল্ডের কান্ডারি ম্যাথু ভালবুয়েনাকেও নেননি। আস্থা রেখেছিলেন তরুণ এবং ক্ষিপ্র একটি দলের উপর। যে দলটি দিন শেষে ট্রফি এনে দিতে পারবে। ২৩ জনের দল ঘোষণার সময়ই দেশম বলেছিলেন, ‘২৩ জন সেরা খেলোয়াড়কে বাছাই করা আমার লক্ষ্য ছিল না। আমার উদ্দেশ্য ছিল টুর্নামেন্টে অনেক দূর যেতে পারে, এমন একটা দল বেছে নেওয়া।’

Deschamps

পায়েট, পগবা, কোম্যান, গ্রিজম্যান, জিরুডদের মত এক ঝাক তরুণ এবং গতিশীল ফুটবলারদের নিয়ে ফ্রান্সের আক্রমণভাগ দ্যুতি ছড়িয়েছে টুর্নামেন্টের সর্বত্র। আর সবাইকে এক সুতোয় গাঁথার কাজটি অনেক সুনিপুণভাবে করেছেন দেশম। এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে এসেছেন দেশম। তার অভিজ্ঞতাটা বেশ কাজে লাগবে ফুটবলারদের। পায়েটের কন্ঠে, ‘তিনি সবকিছুই জিতেছেন, এটা আমাদের জন্য বড় একটা সুবিধা। এ পরিস্থিতিতে তিনি আগেও এসেছেন, কী করতে হবে সেটা তাই ভালোই জানেন।’

Deschamps

ফাইনালের দিনে একটি অনন্য রেকর্ডও হাতছানি দিচ্ছেন দেশমকে। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে একমাত্র ইউরো জয়ের রেকর্ডটি রয়েছে জার্মান বার্টি ফোটসের। ১৯৭২ সালে খেলোয়াড় এবং ১৯৯৬ সালে কোচ হিসেবে ইউরো জিতেছিলেন ফোটস। এবার তার সেই কীর্তি ছোঁয়ার পালা দেশমের।

আরআর/পিআর

আরও পড়ুন