আমলা-ব্র্যাভোর ব্যাটে বিশ্বরেকর্ড
৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০ রান। আউট হয়ে গেছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কলিন মুনরো, ড্যারেন ব্র্যাভো এবং উমর আকমলের মতো ব্যাটসম্যানরা। প্রতিপক্ষ বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে তো তখনই জয়ী ঘোষণা করে দিচ্ছিল কেউ কেউ; কিন্তু তখনও কী কেউ জানতো, কী ঘটার অপেক্ষায় রয়েছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় ম্যাচটি!
চারজন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টের এমন বিদায়ে যখন ধুঁকছিল ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স, তখন দলটির পরিত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে গেলেন হাশিম আমলা এবং ডোয়াইন ব্র্যাভো। তারা দু’জন যেন নাইট রাইডার্স সমর্থকদের বলছিল, ‘মেঘ দেখে তো করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য্য হাসে।’
৪.৪ ওভারে তুমুল বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হাল ধরেন আমলা এবং ব্র্যাভো জুটি। ওই পর্যন্ত ছিল বার্বাডোজের উল্লাস। বাকি ইতিহাসটা নাইট রাইডার্সের। কারণ ধ্বংসস্তুপ থেকে রীতিমত বিশ্বরেকর্ড গড়েই ট্রিনবাগোকে জিতিয়ে দিলেন আমলা এবং ব্র্যাভো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা দু’জন মিলে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড (ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে)। তাদের রেকর্ডের ওপর ভর করে ১১ রানে জয় পেয়েছে শাহরুখ খানের দল ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
৪ উইকেটে ২০ রান থেকে আমলা আর ব্র্যাভো গড়েন ১৫০ রানের জুটি। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১৪৯ রানের, ভারতের ইন্টার স্টেট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ডটা পাকিস্তানের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শোয়েব মালিক আর মিসবাহ-উল হক করেছিলেন ১১৯ রানের জুটি।
২০ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আমলা আর ব্র্যাভোর ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১৭০ রান তোলে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। যদিও ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়ে যান আমলা। তার আগে ৫৪ বলে ৮১ রান করেন তিনি। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৪টি ছক্কার মার। ৪৬ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ডোয়াইন ব্র্যাভো। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৫৯ রান। বড় কোন স্কোর গড়তে পারেনি ট্রাইডেন্টসের কেউ। ৩৭ রান করেন স্টিভেন টেলর। ৩৩ রান করেন নিকোলাস পুরান। ২৮ রান করেন শোয়েব মালিক।
আইএইচএস/এবিএস