ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই পরীক্ষা তাসকিন-সানির

প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ২৫ জুন ২০১৬

বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি থাকায় ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে মাঝ পথেই ফিরতে হয়েছিল টাইগার দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে। এরপর কিছুদিন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালানোর পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেন এ দুই বোলার। যদিও এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমতি পাননি তারা। তবে আগামী ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই এ দুই বোলারের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করা হবে বলে জানান বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে জালাল বলেন, ‘জাতীয় দলের যারা ম্যানেজমেন্ট আছেন তারা তাদের (সানি ও তাসকিন) নিয়ে কাজ করছে। তাদের পুনর্বাসন চলছে। এবারের প্রিমিয়ার লিগের কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখা হবে। সেটা দেখার পর তারা সন্তুষ্ট হলে তাদের পরীক্ষায় পাঠানো হবে। না হলে তাদের নিয়ে আরও কাজ করা হবে। আশা করি আগামী ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই তাদের এ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।’

এবারের লিগের অভিযুক্ত বোলারদের জন্য রিভিউ কমিটি করা হয়। চার সদস্যের সে কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সানি ও তাসকিনের পুনর্বাসন তাদের আওতায় না। এটা জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টদের আওতায়।

আগামীতে যাতে সানি-তাসকিনদের কোন সমস্যায় পড়তে না হয় তাই এখন থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করছি আমরা একটি মিনি ল্যাব করতে। এটা করার জন্য আরও কিছু প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে। চেষ্টা করবো দেশের বাইরে থেকে একজন বিশেষজ্ঞ আনার। রিভিউর কাজ করার জন্য আমাদের কারো অভিজ্ঞতা নেই। তাই আমাদের লোকালদের প্রশিক্ষণ দেবেন তিনি।’

তবে এখনই বায়োক্যামিকাল ল্যাব তৈরিতে ইচ্ছুক নয় বিসিবি। আপাতত কিছু সরঞ্জাম দিয়ে কাজ চালাতে চান তারা। দেশের মাটিতে ল্যাব প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটা অনেক ব্যয়বহুল। যদি আমরা আইসিসির প্রটোকলের মধ্যে ল্যাব করতে চাই, তাহলে এটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। আমরা অতদূর যেতে চাচ্ছি না। আমরা স্বল্প খরচে প্রথমে শুরু করার জন্য যা দরকার তা করতে চাই।’

তবে ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ড চেয়ে আইসিসির কাছে চিঠি লিখেছেন বলে জানান জালাল। এছাড়া আমরা কার্ডিফ থেকেও চেষ্টা হচ্ছে কিছু বিশেষজ্ঞ নিয়ে আশার। দীর্ঘ সময়ের জন্য না হলেও স্বল্প সময়ের জন্য আনার চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরটি/এমআর/এবিএস

আরও পড়ুন