খেলোয়াড়দের বকেয়া দ্রুত সমাধানের আশ্বাস বিসিবির
গত রোববার বিসিবি কার্যালয়ে বিসিবি প্রধান ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দলগুলোকে। এর মধ্যে খেলোয়াড়দের পাওয়া পরিশোধ না হলে কঠোর অবস্থানে যাবেন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে ৭২ ঘণ্টার পর আরও ৭২ ঘণ্টা চলে গেলেও টনক নড়েনি ক্লাবগুলোর। এখনও অধিকাংশ ক্লাবগুলো পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি খেলোয়াড়দের। তবে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সবগুলো ক্লাব এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। কোন ক্লাবের কি বকেয়া আছে সেটার অডিট করে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করবো। ইতোমধ্যে কয়েকটা ক্লাব আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং দুই একটা ক্লাব কমিটমেন্ট অনুযায়ী পেমেন্টও করে দিয়েছে। যে ক্লাবগুলোতে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট বাকি আছে সে সমস্ত ক্লাবের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান করতে।’
তবে ঈদের আগেই খেলোয়াড়দের পাওনা টাকা দিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে চেষ্টা করবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এছাড়াও কোন কোন ক্লাব এখনও টাকা দিয়েছে তা তিনি খোলসা করে বলেননি। তবে যারা বকেয়া পরিশোধ করবে না তাদের বিরুদ্ধে তারা শক্ত অবস্থানে যাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
‘ক্লাবের নাম বলা ঠিক হবে না। সব ক্লাবের সাথেই আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আপনারা জানেন যে, বোর্ড এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সভাপতি মহোদয় ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে বলেছেন। সেই অবস্থান থেকেই বলছি, যদি পেমেন্ট ঠিক মতো না হয় বোর্ড যে কোনো শক্ত অবস্থানে চলে যাবে।’
‘৭২ ঘণ্টা দেয়ার ব্যাপারে বোর্ডের নির্দেশনা ছিল ক্লাবগুলোর কাছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক ক্লাব আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং কেউ কেউ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের বকেয়া আছে চেষ্টা করা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটাকে সমাধান করে ফেলার।’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বারের মত এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট’ এর মাধমে দল নেওয়া হয়। তখন বিসিবি থেকে জানানো হয়েছিল যদি ক্লাবগুলো টাকা না দেয় তাহলে তারাই দিয়ে দিবেন।
আরটি/এমআর/এবিএস