ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী ভূমিকায় এবার তরুণরা
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ও মাশরাফির মত পরিণত প্রতিষ্ঠিত পারফর্মারদের সঙ্গে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রিকেটরের নৈপুণ্যের দ্যুতি প্রিমিয়ার লিগে শুধু আলোই ছড়ায়নি, করেছে আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এবারের ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আসলে ছিল তরুণদেরর জয়গান।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আব্দুল মজিদ ও আল-আমিনের আত্ববিশ্বাসী এবং সাবলীল ব্যাটিংয়ের কাছে অনেক পরিণত ও অভিজ্ঞ উইলোবাজের ব্যাটিংকেও ম্লান মনে হয়েছে। আর ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মোসাদ্দেক ও আল-আমিনের স্পিন বোলিংটাও নজর কেড়েছে সবার। প্রয়োজনীয় সময় ব্রেক থ্রু আনার কাজটি বেশ দক্ষতার সাথে করেছেন তারা। দুজনার মাঝেই মিলেছে অলরাউন্ডার হবার ইঙ্গত।
তিন তরুণ তুর্কি তরুণ কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাসকিন, আল-আমিন বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছেন। স্পিনার নাইম জুনিয়র ও হাবিবুর রহমানরাও সমীহ আদায় করেছেন। মোদ্দা কথা, অনেক দিন পর এবার তরুণরা উড়িয়েছেন জয়ের কেতন। প্রায় খেলায় কোন না কোন সম্ভাবনাময় তরুণের ব্যাট ও বলে জ্বলে উঠে ম্যাচ ভাগ্য নির্ধারণে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মিডল অর্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অসাধারণ উইলোবাজি, তার চওড়া ব্যাট সুপার লিগের শেষ দুটি বড় ম্যাচে আবাহনীকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের বন্দরে।
ফাষ্টবোলার তাসকিনের এক্সপ্রেস বোলিং প্রতিপক্ষ শিবিরে ধরিয়েছে কাপন। বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিবও ভাইটাল ব্রেক থ্রু এনে বার বার তামিম বাহিনীকে চালকের আসনে বসিয়েছেন। এক ঝাঁক তরুনের দল ভিক্টোরিয়াতো নবীনদের হাত ধরেই নজর কাড়ল।
আগের বছরও যাকে সেভাবে আমলে আনা হতো না, সেই আল আমিন এবার শুরু থেকেই দূর্বার। এ ছোট খাট গড়নের মিডল অর্ডারের ব্যাট ছিল রিতিমত আস্থার প্রতিক। অনেক বাঘা বাঘা বোলারও আল আমিনের আত্ববিশ্বাসী এবং সাবলীল উইলোবাজির কাছে হার মেনেছেন। অন্যদিকে ওপেনার মজিদের ব্যাট যেন রান মেশিন। দুই সিনিয়র রকিবুল হাসান ( ৭১৯) ও তামিম ইকবালের (৭১৪ ) পর ৭০৪ রান করে এবারের লিগে রান তোলায় তিন নম্বরে ভিক্টোরিয়ার এ ওপেনার।
যাদের কথা বলা হলো, তারাই শুধু নয়। আরও কজন পারফর্মার আলো ছড়িয়েছেন। এবারের প্রিমিয়ার লিগে রান তোলায় শীর্ষ দশের ছয়জনই তরুণ। আব্দুল মজিদ ( ৭০৬ রান করে তিন নম্বরে) , আল আমিন ( ৬৭২ রান করে চার নম্বরে), মমিনুল হক ( ৬৭১ রান করে পঞ্চম), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ( ৬২২ রান করে ষষ্ঠ ), আসিফ আহমেদ রাতুল ( ৬২০ রান করে সপ্তম) ও মোহাম্মদ মিঠুন (৫৯০ রান করে নবম)। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৩৭ রান করে ১২ নম্বর। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান (৫২৭) ও মেহেদী মারুফও (৫০০) রান করেছেন।
একই ভাবে বোলিংয়েও তরুনরাই এগিয়ে। লঙ্কান স্পিনার চতুরাঙ্গা সিলভার পর ভিক্টোরিয়ার পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৭ উইকেট পেয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি। তার ঠিক পিছনে আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব ও পেসার তাসকিন আহমেদ। ২৬ টি করে উইকেট নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় এবং প্রাইম দোলেশ্বরের পেসার আল আমিন ২৫ উইকেট দখল করে চার নম্বরে।
এআরবি/এমআর/এমএস