সেরা অলরাউন্ডার কে? সাকিব না মাহমুদউল্লাহ
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অনেকেই। এ তালিকায় যথারীতি রয়েছেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাত্র আট ম্যাচ খেলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কেন বিশ্বসেরা। তবে লিগে সাকিবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন মাহমুদউল্লাহ। জাতীয় দলের নিয়মিত এ তারকাদের থেকে কোন অংশেই পিছিয়ে ছিলেন না নবীন তারকারাও। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আল-আমিনরাও এবারের লিগে নজর কেড়েছেন সবার।
তবে লিগ শেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় কে সেরা? সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক নাকি আল-আমিন। কেউ কেউর চেয়ে পিছিয়ে নেই। ব্যাট হাতে এদের মধ্যে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছেন আল-আমিন। আবার বল হাতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
তবে ব্যাট-বলের সমতা ও ম্যাচের সংখ্যার ভিত্তিতে এবারের লিগের সেরা অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ। ১১ ম্যাচ খেলে ৪৯৭ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি সেঞ্চুরিসহ ম্যাচ প্রতি গড় ৪৯.৭০ ও স্ট্রাইক রেট ৭৭.৮৯। আর ১০ ইনিংসে বল করে ২১টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ উইকেট নেবার কীর্তিও রয়েছে শেখ জামাল অধিনায়কের।
এরপরেই আছেন সাকিব। মাত্র আট ম্যাচ খেলেই তুলে নিয়েছেন ১৮টি উইকেট। পুরো লিগ খেলতে পারলে হয়তো লিগের সেরা বোলার হতে পারতেন। ব্যাটিংটাও খারাপ করেননি। এবারের লিগের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিটির মালিক আবাহনীর এ অলরাউন্ডার। মোহামেডানের বিপক্ষে মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আট ম্যাচে তার রান ২১০, স্ট্রাইক রেট ১৩১.২৫।
লিগের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভিক্টোরিয়ার আল-আমিন। ১৬ ম্যাচে ৬৭২ রান করেছেন তিনি। ৪৮ গড়ে সাতটি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন। পুরো লিগ জুড়েই করেছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। একবার পাঁচ উইকেটসহ মোট ১৬টি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
১৬ ম্যাচে ৬২২ রান তুলে এবারের লিগে সবচেয়ে আলোচিত নাম মোসাদ্দেক। এর মধ্যে দুটি ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি তার। আবাহনীর হয়ে শেষ দিকে ব্যাটিং করতে নেমে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দারুণ ফিনিশিং এনে দিয়েছেন। প্রয়োজনের সময় বল হাতেও দলকে এনে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু। একবার পাঁচ উইকেটসহ মোট ১৬টি উইকেট পেয়েছেন এ নবীন।
এছাড়াও দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন প্রাইম দোলেশ্বরের নাসির হোসেন। ১৬ ম্যাচে ৭৫.৪২ গড়ে করেছেন ৫২৮ রান। বল হাতেও তুলে নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক পরীক্ষিত সৈনিক নাঈম ইসলামের পারফরম্যান্সও ছিল উল্লেখ করার মত। ১৬ ম্যাচে ৩৪২ রানের পাশাপাশি ১৯টি উইকেট নিয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক। এছাড়া শুভাগত ১৬ ম্যাচে করেছেন ৩০৯ রান। বল হাতেও ১৬টি উইকেট তুলে নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক।
নাম |
দল |
ম্যাচ |
ব্যাটিং |
বোলিং |
||||
রান |
গড় |
সে/হাসে |
উইকেট |
গড় |
৪/৫ |
|||
আল-আমিন |
ভিক্টোরিয়া |
১৬ |
৬৭২ |
৪৮.০০ |
১/৭ |
১৬ |
৩৩.৪৩ |
০/১ |
মোসাদ্দেক হোসেন |
আবাহনী |
১৬ |
৬২২ |
৭৭.৭৫ |
০/৫ |
১৫ |
২৮.৮৬ |
০/১ |
নাসির হোসেন |
দোলেশ্বর |
১৬ |
৫২৮ |
৭৫.৪২ |
০/৪ |
১৪ |
৩৫.৯২ |
০/০ |
মাহমুদউল্লাহ |
শেখ জামাল |
১১ |
৪৯৭ |
৪৯.৭০ |
২/০ |
২১ |
১৯.০৪ |
০/১ |
নাঈম ইসলাম |
মোহামেডান |
১৬ |
৩৪২ |
২৬.৩০ |
১/১ |
১৯ |
২২.৪২ |
১/০ |
শুভাগত হোম |
প্রাইম ব্যাংক |
১৬ |
৩০৯ |
২২.০৭ |
০/২ |
১৬ |
৩২.৯৩ |
০/০ |
সাকিব আল হাসান |
আবাহনী |
৮ |
২১০ |
৩০.০০ |
০/২ |
১৮ |
১৩.৭৭ |
১/১ |
* রান সংগ্রহের ভিত্তিতে তালিকাটি সাজানো হয়েছে।
এমআর/এমএস