৫ ম্যাচে ১৮ গোল আর্জেন্টিনার
একসঙ্গে দুটি বড় ফুটবল আসর ইতিপূর্বে আর দেখা যায়নি। একদিকে চলছে কোপা আমেরিকা, অন্যদিকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। কোপা আমেরিকার শতবর্ষী টুর্নামেন্টটির আসর বসেছে আবার মার্কিন মুলুকে। আমেরিকা-ইউরোপের এই দুটি টুর্নামেন্ট যদি পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া যায়, তাহলে নিশ্চিত আমেরিকার কাছে হেরে যাবে ইউরোপ। ফুটবল তো গোলের খেলা। সেই গোলের ব্যবধানেই যোজন যোজন পিছিয়ে ইউরোপ। কোপায় এক আর্জেন্টিনাই প্রতিপক্ষের জালে ৫ ম্যাচে ১৮বার বল জড়িয়েছে।
শুরুটা ছিল চিলির বিপক্ষে ২ গোল দিয়ে। সর্বশেষ সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের জালে ৪টি। মাঝে আরও ১২টি গোল দিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। স্কোর লাইন ২, ৫, ৩, ৪, ৪। অথ্যাৎ আর্জেন্টিনার গোলবন্যা যেন চলছেই। এর মধ্যে মেসিই করেছেন ৫ গোল। একটি হ্যাটট্রিকসহ। ফাইনালে কয়টি গোল দেবে মেসি-আগুয়েরোদের আলবিসেলেস্তেরা?
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ১০ গোল করে আগেই রেকর্ড গড়েছিল আর্জেন্টিনা। এরপর কোয়ার্টার এবং সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষের জালে পরপর দু’বার একহালি করে গোল দিয়েছে আলবিসেলেস্তারা। অথচ কোয়ার্টার ফাইনালের এক ম্যাচেই ৭ গোল করেছে চিলি। তবু তারা পিছিয়ে অনেক। আলেক্সিস সানচেজদের গোল মোট ১৪টি।
প্রথম ম্যাচে খেলতেই পারেননি লিওনেল মেসি। ইনজুরির কারণে সাইডলাইনে বসে দেখেছেন সতীর্থদের খেলা। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল গত কোপার ফাইনালে হেরে যাওয়া চিলির। প্রতিশোধের এই ম্যাচটিতে অবশ্য চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করে টানা মার্টিনোর শিষ্যরা। পরের ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লিওনেল মেসি।
মাঠে নেমেই ২৬ মিনিটের ব্যবধানে করলেন হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকে পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন বার্সেলোনা তারকা। বলিভিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে গোল পাননি তিনি। তবে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা।
এরপর নকআউট পর্ব। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল। এই দুই ম্যাচেই ৮টি করে ৮ গোল। ভেনেজুয়েলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।
আইএইচএস/এবিএস