রূপগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপার কাছাকাছি আবাহনী
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দারুণ জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। সুপার সিক্সের চতুর্থ রাউন্ডে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৬০ রানের জয় পায় তারা। ফলে শিরোপার আরও অনেক কাছাকাছি চলে আসলো দলটি। ১৫ ম্যাচে ১০টি জয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ২০। একটি ম্যাচের ফলাফল এখনও তারা পায়নি। অপরদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে রূপগঞ্জের পয়েন্টও ২০।
আবাহনীর এ জয়ের মূল নায়ক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেন তিনি। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করার পর বল হাতেও সেরা পারফরম করেন তিনি। ৪৩ রানের বিনিময়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫টি উইকেট তুলে নেন তিনি।
এদিন আবাহনীর দেওয়া ২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পরে রূপগঞ্জ। দলীয় ৩৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পারে তারা। এরপর নিহাদুল ইসলামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৫৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৯৪ রানে নিহাদের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলীয় ১৪৯ রানে অধিনায়ক আসিফ আহমেদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারত দিয়ে রানআউট হন মোশারফ হোসেন রুবেল। ফলে কার্যত তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে তারা।
এরপর সাজ্জাদুল হককে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন আসিফ। তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে মাত্র। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন আসিফ। ৫৪ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৬১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন।
আবাহনীর পক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট পান সৈকত। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান সাকিব ও তাসকিন।
এর আগে সোমবার সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে তারা। অধিনায়ক তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের দারুণ সংগ্রহ পায় তারা। তবে তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
দলীয় ১১২ রানে চার উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেককে নিয়ে দলের হাল ধরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করে আবাহনী।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন মোসাদ্দেক। ৫৫ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৫৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানের দাউন ইনিংস খেলেন সাকিব। এছাড়া ৬৯ বলে ৬টি চারে ৫১ রান করেন লিটন। রূপগঞ্জের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৪৫ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। এছাড়া আসিফ আহমেদ ৫৭ রানে নেন ৩টি উইকেট।
আরটি/এমএস