পদত্যাগ করবেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি গঠন করার প্রস্তাব আসার পর থেকেই দারুণ সমালোচিত হচ্ছিল এই সিস্টেম। নানা পক্ষ থেকে এর তুমুল বিরোধীতা করা হলেও রোববার অনুষ্ঠিত বিসিবির বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সভায় নিজেদের প্রস্তাবই পাশ করে নেয় বিসিবি। ফলে নির্বাচক কমিটিকে ভাগ করে ফেলা হলো। ৬ সদস্য দিয়ে কমিটি ভাগ করে করা গলো দ্বি-স্তরের।
বিসিবিতে অনুমোদন দেয়া দ্বি-স্তরের নির্বাচক কমিটির সঙ্গে কোনমতেই একমত নন এতদিন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ফারুক আহমেদ। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন এই প্রক্রিয়ায় তার পক্ষে কোনমতেই কাজ করা সম্ভব নয়। যে কোন সময় পদত্যাগ করবেন তিনি।
ফারুক আহমেদ ব্যক্তিগত সফরে এখন রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকেই তিনি সংবাদ মাধ্যমকে টেলিফোনে জানান, ‘আমি ইতিমধ্যেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আগামী মাসের শুরুতে দেশে ফিরেই আমি বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
কেন তিনি পদত্যাগ করবেন? এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিউইয়র্কে অবস্থান করা ফারুক বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, এই প্রক্রিয়ায় আমি কাজ করব না। কারণ এভাবে নির্বাচক কমিটি কখনোই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। বরং হস্তক্ষেপের সুযোগ বেশি। আর নির্বাচক কমিটি দ্বি-স্তরবিশিষ্ট করার কী দরকার ছিল, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি দেশে ফিরে অথবা এখান থেকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিতে পারি।’ গত ডিসেম্বরে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও বিসিবির অনুরোধে এই কয় মাস কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি।
যদিও নতুন পদ্ধতি দল নির্বাচন নিয়ে কোনো ঝামেলার অবকাশই রাখবে না বলে দাবি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের। সভার পর বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এখন যেমন দল পাঠানোর পর আমাকে বদলাতে হয়, নতুন প্রক্রিয়ায় তা হবে না।’
ফারুক বিস্মিত হাবিবুল বাশারকে মহিলা দলের নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়াতেও। ‘সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে খুব ভালো কাজ করছিল হাবিবুল বাশার। তাকে মহিলা দলের দায়িত্ব দেওয়া মানে কেউ তার ওপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ মেটাচ্ছে’- বলেছেন ফারুক আহমেদ।
আইএইচএস/এবিএস