রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে শেখ রাসেল
ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল শিরোপা প্রত্যাশী দল শেখ রাসেল। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল করে শেখ রাসেলকে সেমিতে ওঠান ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ট পল এমিল।
জায়ান্ট তকমা নিয়ে টুর্নামেন্টে এলেও নিজেদের নামের প্রতি তেমন সুবিচার করতে পারছে না। সেদিক দিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হয়েও সমানে সমান লড়েছে রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ২৫ মিনিটেই অসাধারণ এক সুযোগ পান ফিকরু। কিন্তু পল এমিলের বাড়িয়ে দেয়া বল সোজা গোলকিপারের পায়ে মারেন শেখ রাসেলের এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে বলার মত আর কোন আক্রমণই করতে পারেনি কোন দল।
বিরতি থেকে ফিরে আরো একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফিকরু। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে জামাল ভুইয়ার পাসে বক্সে বল পেয়ে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুজন ডিফেন্ডার জান বাজি রেখে ব্লক করেন শটটি। ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত একটি সুযোগ পায় রহমতগঞ্জ। ৬০ মিনিটে সোহেল মিয়ার অসাধারণ শট বাড়ে লেগে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় দলটি।
নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই অবশেষে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় শেখ রাসেল। ১০২ মিনিটে জামাল ভুইয়ার কাছ থেকে লম্বা থ্রু পাস পেয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড পল এমিল। আগুয়ান গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুমের পাশ দিয়ে প্লেসিং শটে পল বল জড়িয়ে দেন জালে (১-০)। কিন্তু রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তা সবাই গোলটি অফসাইড হয়েছে বলে রেফারি জালাল উদ্দিনের কাছে তীব্র আপত্তি জানান। কিন্তু রেফারি এটি গোল বলে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে রহমতগঞ্জ খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তাতেই গলেনি রেফারি। কিছু সময় পর খেলা শুরু হলেও রহমতগঞ্জ আপ্রাণ চেষ্টা করেও সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি।
আরআর/এবিএস