বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সম্মানিতবোধ করছি: হেলমট
দুদিন আগেই বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের দায়িত্ব নেন সাইমন হেলমট। গত শনিবার চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর সোমবার প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এ অস্ট্রেলিয়ান। সেখানে তিনি জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে সম্মানবোধ করছেন এ ৪৪ বছর বয়সী কোচ।
এদিন বিসিবি কার্যালয়ে হেলমট বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান কোচ হিসেবে আমি যুক্ত হয়েছি। আমি খুবই ভাগ্যবান। শেষ ২০ বছর আমি ছোট ও বড় সব ধরনের দলগুলোকে নিয়ে কাজ করেছি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দল মেলবোর্ন রেনেগেডউস ও হোবার্ট হ্যারিকেন্সের সঙ্গে কাজ করেছি।’
বাংলাদেশে প্রথমবার কাজ করলেও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আগে থেকেই সখ্য রয়েছে তার। বিশেষ করে বাংলাদেশের সেরা আলোচিত তারকা মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদে। মেলবোর্ন রেনেগেডসে সাকিবের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার রয়েছে তার। এছাড়াও জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত তিনি। যখন নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে হাতুরু কাজ করার সময় ভিক্টোরিয়ার হয়ে কাজ করতেন এ অস্ট্রেলিয়ান।
বাংলাদেশে তিনি কীভাবে কাজ করবেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি কোচ ও বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনে নিয়ে যেতে কাজ করবো। আগামীতে বেশ কয়েকটি বড় টুর্নামেন্ট আসছে; যেমন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার কিছুদিন পরই বিশ্বকাপ। এছাড়া এ সময়ে অনেক সিরিজ খেলা হবে। এজন্য আমাদের তরুণ কিছু খেলোয়াড়কে ঘষে-মেজে ঠিক করতে হবে, একই সঙ্গে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশ সঠিক পথে থাকবে। এ কাজটাই দায়িত্বটি আমাকে বেশি উৎসাহিত করছে।’
এইচপি প্রোগ্রামে ক্রিকেটারদের স্কিল, অনেক অভিজ্ঞতা ও প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করবেন হেলমট। ক্রিকেটারদের দায়িত্ব ও নিয়ম-কানুন মেনে কাজ করানো হবে। তবে বয়স এখানে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তিনি। ১৫/১৬, ২৫ কিংবা ৩০ যে কোন বয়সের মানুষ তার প্রতিভা ভিন্ন উপায়ে, আকার এবং আয়তনে আসে বলে মনে করেন তিনি।
‘প্রতিভা সব ভিন্ন উপায়ে, আকার এবং আয়তনে আসে এবং এটা দেখতে পাওয়া সহজ নয়। প্রতিভা চিহ্নিতকরণের কাজটি একটি দক্ষতা। আমরা বিশ্বাস করি আমরা এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি তারা দেশের সেরা পেসার, সেরা স্পিনার, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা উইকেট রক্ষক। অবশ্যই তারা সেরা ফিল্ডার এবং তার ম্যাচের জন্য ফিট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমরা তাদের জন্যই কাজ করবো, যারা বিশ্বাস করে, তারা দেশের জন্য ক্রিকেট খেলছে।’
খেলোয়াড়ি জীবনের শীর্ষ পর্যায়ে কখনও ক্রিকেট খেলতে পারেননি হেলমট। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় তার কোচিংয়ে ভিক্টোরিয়া বুশরেঞ্জার্সকে তিনবার ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুলে শিরোপা জিতিয়েছেন একবার। এছাড়াও বিগ ব্যাশে টানা চার বছর ছিলেন মেলবোর্ন রেনিগেডসের দায়িত্বে। বর্তমানে সহকারী কোচ হোবার্ট হারিকেন্স দলে। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদে টম মুডির সহকারী ছিলেন তিনি। এছাড়াও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো দলের প্রধান কোচও এ অস্ট্রেলিয়ান।
আরটি/আরআর/এমএস