তাসকিনের স্বস্তি
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝে হঠাৎ করেই দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়ে বিশ্বকাপের মাঝ পথ থেকেই দেশে ফিরতে হয় তাদের। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাত ম্যাচ খেলে ফেললেও চেনা ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাসকিন। মঙ্গলবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে পুরনো ছন্দ ফিরে পান এ পেসার। এরপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন দেশ সেরা এ পেসার।
এদিন সাভারের বিকেএসপিতে ম্যাচ শেষে তাসকিন বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুব দরকার ছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খুব ছন্দ ছিল। লিগে আমার কাছে দলের যে প্রত্যাশা ছিল এমনকি আমি আমাকে যতটুকু চিনি সেভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারছিলাম না। ম্যাচ জেতানো বোলিং তো বটেই দল জেতায় বেশি ভালো লাগছে। এটা আমার জন্য স্বস্তিদায়ক।’
এদিন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে দারুণ জয়ে মূল অবদান রাখেন তাসকিন। ইনিংসের শুরুতেই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন তিনি। এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট তুলে কোণঠাসা করে দেন গাজী গ্রুপকে। শুধু তাই নয় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে যখন শামসুর রহমান চোখ রাঙাচ্ছিলেন। তাকেই ফিরিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন এ পেসারই। তবে উইকেট পাওয়া খুব সহজ ছিলনা বলে জানান তাসকিন। নিখুঁত বল করেই তুলে নিয়েছেন উল্লেখ করেন তিনি।
‘উইকেট একদম ফ্ল্যাটই ছিল। প্রতিটি বাজে বলে তারা মেরেছে। শতভাগ প্রচেষ্টায় নিখুঁত লাইন-লেন্থে বোলিং করতে হয়েছে। এমন ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটে নিখুঁত লাইন-লেন্থে বোলিং না করলে সাফল্য পাওয়া যায় না।’
এদিন নয় ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট পান তাসকিন। পাঁচ উইকেট পাওয়ার হাতছানি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে চার উইকেট পেয়েও দল জেতাতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।
‘পাঁচ উইকেট পেতে ভাগ্যের ছোঁয়াও লাগে। চার উইকেটের পর অনেক ভালো বোলিং করে উইকেট পাইনি। তবে পাঁচ উইকেটের চেয়ে আমার কাছে ম্যাচ জেতা জরুরি ছিল। এই ম্যাচে হারলে সুপার লিগে ওঠার সম্ভাবনা কমে যেতে। সামনের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরটি/আরআর/এমএস