ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় সৌদিকে অভিনন্দন এএফসি সভাপতির

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

এক যুগের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপের পর ২০৩৪ সালের আসর বসবে সৌদি আরবে। বুধবার ফিফার এই ঘোষণার পর থেকে আনন্দের বন্যা ধনাঢ্য দেশটিতে।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইনের শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা। বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবকে।

এক অভিনন্দন বার্তায় শেখ সালমান বলেছেন, ‘এটি সৌদি আরব, এএফসি ও সমগ্র এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা উপলক্ষ। সৌদি আরবের সফল বিড দেশটির দৃষ্টি, অঙ্গীকার এবং ফুটবলের প্রতি গভীর আবেগের প্রমাণ করে। দেশটি একটি অসাধারণ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষমতা রাখে, আমরা সেই পূর্ণ আস্থা রাখি। যার মাধ্যমে এশিয়া এবং তার বাইরেও খেলাধুলার জন্য একটি দৃষ্টান্ত রেখে যাবে দেশটি।’

সালমান বলেছেন, ‘২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদি আরবের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উষ্ণ আতিথেয়তা এবং দ্রুত উন্নয়ন বিশ্বের কাছে তুলে ধরার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে। দেশটিতে এবং পুরো অঞ্চলে এই ইভেন্টটি যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা প্রত্যক্ষ করতে আমাদের এখন রোমাঞ্চিত অপেক্ষা।’

বিশ্বকাপের আগে সৌদি আরব আয়োজন করবে এএফসি এশিয়ান কাপ। ২০২৭ সালে হতে যাওয়া এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন হবে সৌদির জন্য বিশাল এক অভিজ্ঞতা।

‘২০২৭ এশিয়ান কাপ আয়োজন হবে সৌদি আরবের ফিফা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এশিয়া কাপ দেশটির বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সহায়তা করবে। অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ এবং নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সক্ষমতার পরীক্ষা হয়ে যাবে বিশ্বকাপের আগে’-বলেছেন এএফসি প্রেসিডেন্ট।

শেখ সালমান সৌদির ওপর এএফসির পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ফিফা বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করতে এএফসি সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশন এবং ফিফার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চারপাশের ফুটবল ভক্তদের জন্য একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করবো। এই ঐতিহাসিক অর্জন এশিয়ান ফুটবলের জন্য একটি নতুন অধ্যায় চিহ্নিত করেছে। সৌদি আরব ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার মাধ্যমে এশিয়া বিশ্ব মঞ্চে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

সৌদি আরব ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১৫টি স্টেডিয়াম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে বিদ্যমান চারটি ভেন্যু সংস্কার করা ছাড়াও ১১টি নতুন বিশ্বমানের অ্যারেনা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এশিয়ার অন্যতম এই ধনাঢ্য দেশটির।

এশিয়াতে সর্ব প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়ায়। দ্বিতীয়বার আয়োজক ছিল ২০২২ সালে কাতার। সৌদি আরব হতে যাচ্ছে এশিয়ার চতুর্থ দেশ, যারা আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফুটবল প্রতিযোগিতা।

আরআই/এমএমআর/জিকেএস