ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নেইমারকে ছাড়ালেন মেসি, ম্যারাডোনাকে ছুঁলেন লাউতারো

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আর্জেন্টিনা। ফুটবলে যাদের কামব্যাক করতে বেগ পেতে হয় না। প্রমাণ হলো আরও একবার। আগের ম্যাচে পেরুগুয়ের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে। এক ম্যাচ পরই জয়ে ফিরলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পেরুকে হারিয়ে দিলো ১-০ ব্যবধানে। ২০২৪ সালের শেষটা ম্যাচটি রাঙালো জয়ে।

বুয়েনস এইরেসে বুধবার সকালে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ। তাকে অ্যাসিস্ট করেন লিওনেল মেসি।

আর্জেন্টিনার বহুল প্রয়োজনীয় এক গোলে অবদান রেখে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মেসি ও লাউতারো। আর্জেন্টাইনদের একমাত্র গোল শোধ করতে না পেরে লাতিন আমেরিকা বাছাইয়ের টেবিলের তলানিতে (১০তম স্থানে) চলে গেছে পেরু। অন্যদিকে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।

লাউতারোকে গোলে সহায়তা করে নেইমারকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫৮তম অ্যাসিস্ট করে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে টপকে গেছেন তিনি। এর আগে ব্রাজিলের জার্সিতে ৫৭বার গোলে সহায়তা করেছিলেন নেইমার।

এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন মেসি। এর আগে সর্বোচ্চ ৫৮ অ্যাসিস্টের রেকর্ড এককভাবে নিজের করে রেখেছিলেন আমেরিকার লান্ডন দোনোভান। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের ৩৭৯তম অ্যাসিস্ট করেছেন ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী তারকা মেসি।

২০২২ বিশ্বকাপে লাউতারো ছিলেন ফ্লপ। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকায় ইন্টার মিলানের এই ফরোয়ার্ড গোল করতে পেরেছিলেন কেবল ফাইনালে। কিন্তু দলের প্রয়োজনে লাউতারো যে আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন, তা প্রমাণিত হলো আরও একবার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৩২তম গোল করে দলকে জেতালেন তিনি।

পেরুর বিপক্ষে গোল করে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ ৫ গোলদাতার তালিকায় জায়গা পেলেন লাউতারো। ছুঁয়ে ফেললেন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে।

১৯৭৭ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ৩২ গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। এসব গোল করতে কিংবদন্তি ফরোয়ার্ডকে খেলতে হয়েছে ৮৪ ম্যাচ। লাউতারো ৩২ গোল করে ফেলেছেন ১৪ ম্যাচ কম খেলে, ৭০তম ম্যাচে।

আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন লিওনেল মেসি। আকাশী-সাদা জার্সিতে ১১২ গোল করেছেন ইন্টার মিয়ামি তারকা। এরপর আছেন গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (৫৫), সার্জিও অ্যাগুয়েরো (৪১), হারনান ক্রিসপো (৫৫) গোল করেছিলেন।

এমএইচ/জেআইএম