ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

২৬ অক্টোবরের নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বাফুফে?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চারদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার দায়িত্বও নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে এরই মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তরুণ ছাত্রনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তরুণ এই উপদেষ্টার প্রধান কাজ হবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন সংস্কার করা। রাজনৈতিক বলয় থেকে বের করে ক্রীড়াঙ্গনকে প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠকদের হাতে তুলে দেওয়াই হবে ক্রীড়া উপদেষ্টার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দায়িত্ব নেওয়ার পরই তাকে প্রথমে ভাবতে হবে দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশন বাফুফে ও বিসিবিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে।

এর মধ্যে বাফুফে নির্বাচন সন্নিকটে। বাফুফের বর্তমান নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ৩ অক্টোবর। তবে ফিফার অনুমোদন নিয়ে মেয়াদ বাড়িয়ে ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ধার্য করেছে বাফুফে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ঘোষিত ওই তারিখে বাফুফে নির্বাচন আয়োজনের জন্য কতটা প্রস্তুত?

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্ব দেওয়া শীর্ষভাগ মানুষই আওয়ামী ঘরানার। তারা এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকে দেশের বাইরেও পালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বেশি সফল ক্লাব আবাহনী ও আরেকটি ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এখন ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

হাসিনা সরকার পতনের পরপরই এ দুটি ক্লাব ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। বাফুফেতে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে কমিটি পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর বাফুফের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম বিভিন্ন ক্লাব। এ অবস্থায় ২৬ অক্টোবর নির্বাচন হবে?

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার শুক্রবার জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘ফিফার অনুমোদন নিয়ে নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছে ২৬ অক্টোবর। এখন পর্যন্ত সেটাই আছে। বিকল্প কিছু এখনো কেউ ভাবছেন না। অন্তর্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা পেয়েছি। আশা করি সহসাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারবো।’

দেশের ফুটবলপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরে বাফুফের শীর্ষ পদে পরিবর্তন দাবি করে আসছিলেন। প্রতিটি নির্বাচনের আগে এমন দাবি উঠলেও শেষ পর্যন্ত ভোটাররা প্রতিবারই কাজী মো. সালাউদ্দিনকেই সভাপতি নির্বাচিত করেছেন।

তবে এবার দেশের এই কিংবদন্তি ফুটবলার নির্বাচন করবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। অনেকের ধারণা, শেখ হাসিনার সরকারের আনুকূল্য পেয়ে বারবার নির্বাচিত হওয়া কাজী সালাউদ্দিন এবার নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেন।

কেবল কাজী মো. সালাউদ্দিনই নন, নির্বাহী কমিটির অনেক কর্মকর্তাকেই আগামী নির্বাচনে নাও দেখা যেতে পারে। এরই মধ্যে সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী পদত্যাগ করেছেন। গুঞ্জন আছে আরো কয়েকজন পদত্যাগ করতে পারেন।

আবার ঢালাও পদত্যাগের ঘটনা ঘটলে ফিফা সেটাকে ভালোভাবে নিতে নাও পারে। যে কারণে, অন্য সব ফেডারেশনের চেয়ে বাফুফের হিসেবটা ভিন্ন। এখানে ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী সব হতে হবে। পান থেকে চুন খসলেই বিপদ।

ফুটবলামোদীরা চাইছেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে যাওয়া নির্বাচনে বাফুফেতে প্রকৃত সংগঠকরাই আসুক। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে হতে যাওয়া নির্বাচনে বাফুফেতে আমূল পরিবর্তন আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গনের পোড়খাওয়া সংগঠকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন পর দক্ষদের হাতেই দায়িত্ব আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আরআই/এমএমআর/জিকেএস