লেবাননে আমন্ত্রিত সাবিনারা, সিদ্ধান্ত দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত বছর ২৬ ও ২৯ অক্টোবর বৈরুতে লেবাননের বিপক্ষে নারী ফুটবল দলের দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দল পাঠায়নি বাফুফে। ১০ মাস পর আবার সেই লেবাননে খেলার সুযোগ এসেছে নারী ফুটবলারদের। তবে এবার প্রীতি ম্যাচ নয়, একটি চার জাতির টুর্নামেন্টে।
লেবানন ফুটবল ফেডারেশন এই টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি অতিথি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জর্ডান ও নেপাল অংশ নেওয়ার সম্মতি জানালেও বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নারী ফুটবল দলকে লেবাননে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
‘আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তাদের অনুমতি চেয়েছি। এখনো কেনো জবাব পাইনি। এখন ঈদের ছুটি চলছে। আশা করি, অফিস খুললেই আমরা একটা সিদ্ধান্ত পাবো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া আমরা দল প্রেরণ করতে পারবো না’- বলছিলেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ।
বৈরুতে এই টুর্নামেন্ট হবে ৮ থেকে ১৬ জুলাই। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য সাফ রানার্সআপ দল নেপাল এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করেছে। বাংলাদেশ দল অনুশীলনের মধ্যেই আছে। এখন ঈদের ছুটিতে আছেন নারী ফুটবলাররা।
আগামী অক্টোবরে নেপালে বসবে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পরের আসর। শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ বেশি বেশি ম্যাচ খেলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তার অংশ হিসেবে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলেছে। এখন লেবাননে টুর্নামেন্ট খেলতে পারলে ভালোই প্রস্তুতি হবে।
লেবাননে শেষ পর্যন্ত যাওয়া না হলে বাংলাদেশ সাফের আগে প্রীতি ম্যাচ খেলবে কিনা জানতে চাইলে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা তো ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু প্রতিপক্ষ পাওয়াই কঠিন।’
আরআই/আইএইচএস