৬ গোলে সালাহর ২, বড় জয়ে শুরু লিভারপুলের
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলের শীর্ষে থেকে সদ্যসমাপ্ত বছর শেষ করেছে লিভারপুল। নতুন বছরে আরও ভালো কিছুর পরিকল্পনা যে করেছে, তার প্রমাণ মিলেছে প্রথম ম্যাচেই। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৬ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইকে লিভারপুল জিতেছে ৪-২ গোলে। পেনাল্টি মিস করলেও জোড়া গোল পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ।
সোমবার রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে জয়ের ফলে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলা থেকে এগিয়ে গেছে লিভারপুল। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষ করেছিল দুই দল। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে টেবিলের শীর্ষে ছিল লিভারপুলই। এখন লিভারপুলের পয়েন্ট ৪৫।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলেছে লিভারপুল। ২০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিও পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। কিন্তু সালাহর করা দুর্বল পেনাল্টি শট রুখে দেন নিউক্যাসলের গোলরক্ষক মার্টিন দাব্রাভকা। তবে বিরতির আগে কোনো দল গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে জোড়া গোল করেন সালাহ। এর সুবাদে ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আর্লিং হালান্ডের লিগ খেলায় সর্বোচ্চ গোলের (১৪টি) রেকর্ডেও ভাগ বসান মিসর তারকা।
প্রথমার্ধে খেলতে নেমে একের পর এক আক্রমণ চালায় লিভারপুল। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি অল রেডরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৪৯তম মিনিটে প্রথম গোল করে লিভারপুল। দারউইন নুনিয়েজ খালি থাকা সালাহকে অ্যাসিস্ট করলে গোলবারের কাছ থেকে শট করে বল জালে জড়ান মিসর তারকা।
লিভারপুলের প্রথম গোলটি পরিশোধ করতে বেশি সময় নেয় নি নিউক্যাসল। ৫৪ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান নিউক্যাসলের সুইডিশ ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার আইজ্যাক। এরপর ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে কার্টিস জোনসের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুুল। এর ৪মিনিট পর গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন কডি গাকপো।
৮১ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে সভেন বটম্যান গোল ব্যবধান (৩-২) কমিয়ে আনেন। তবে সেটিও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি নিউক্যাসল। এরপর ৫ মিনিট পর পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। তবে এবার আর ভুল করেননি সালাহ। বাঁপায়ের শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ফলে দল এগিয়ে গেছে ৪-২ গোলে। অবশেষে রেফারির শেষ বাঁশিতে বড় জয় নিয়েই নতুন বছর শুরু হয়েছে লিভারপুলের।
চলতি মৌসুমে ২০ ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা লিভারপুুলের পয়েন্ট ৪৫। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অ্যাস্টন ভিলা। এক ম্যাচ কম খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
আইএইচএস/জেআইএম