বাংলাদেশকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার
‘র্যাংকিং বিষয় না আন্তর্জাতিক ম্যাচে সব প্রতিপক্ষই সমান’
আর মাত্র ৩ দিন পর মেলবোর্নে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। সকারুজদের বিপক্ষে খেলার জন্য জামাল ভূঁইয়ারা শনিবার রাতে মেলবোর্ন পৌঁছেছেন। রোববার হোটেলে জিম আর রিকভারি সেশনে কাটিয়েছেন ফুটবলাররা। প্রথমবার মাঠে বল নিয়ে অনুশীলন করেছেন সোমবার।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়া। ফিফা র্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ২৭। সেখানে বাংলাদেশ ১৮৩। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দৌড় প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্তই।
সেখানে ৬টি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। টানা খেলেছে সর্বশেষ ৬টিতে। সেই দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের মিশন।
রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে দুই ম্যাচে সকারুজরা জিতেছিল ৫-০ ও ৪-০ গোলে।
৮ বছর পর সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আরেকটি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার মিশন শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহ্য আর শক্তি-সামর্থ্যে দুই দেশের পার্থক্য যোজন-যোজন।
আন্ডারডগ হিসেবেই এ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তবে অস্ট্রেলিয়া শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকলেও দলটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার আজিজ এরালতে বেহিচ নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন না।
নিজ দেশের হেরাল্ড সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড় বলেছেন ‘আমরা আন্ডারডগ নাকি ফেবারিট তা বিবেচনায় আনছি না। প্রতিপক্ষের র্যাংকিং কী, তাও বিবেচ্য নয়। র্যাংকিংয়ে নিচের হোক বা ওপরের- যে দেশের বিপক্ষেই খেলিনা কেন ম্যাচে কোনো পার্থক্য নেই। সব ম্যাচই আন্তর্জাতিক, সেটাই বড় বিষয়। আমরা জানি মাঠে কী করতে হবে এবং আমরা নিজেদের কাছ থেকে কী আশা করি। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই আরো ভালো করতে চাই।’
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে ৫৫ ম্যাচ খেলা মেলবোর্ন সিটির এই লেফটব্যাংক প্রত্যাশা করছেন, দেশকে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো একটা সূচনা এনে দেওয়ার।
গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষই র্যাংকিংয়ে তাদের নিচে। এ তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে পারবেন বলেই প্রত্যাশা করছেন ৩২ বছর বয়সী তুর্কি বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার।
রাশিয়া বিশ্বকাপের পর বর্তমান কোচ গ্রাহাম আরনল্ড সকারুজদের দায়িত্ব নিয়েছেন। তারপর থেকেই তাদের লক্ষ্যটা তুলেছেন আরো ওপরে।
আজিজ বলেছেন, ‘ এই কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমাদেরকে একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করি। আমাদের জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মিশনটাও আলাদা হবে না। আমরা আশা করছি, বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে পারবো এবং সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মিশনটা ঘরের মাঠ দিয়ে শুরু করতে পারছেন বলে বেশ উচ্ছ্বসিত আজিজ, ‘আমরা অনেক খুশি। কারণ, প্রথম ম্যাচটি আমাদের সমর্থকদের সামনে খেলতে পারছি। সবাই মাঠে যেতে আগ্রহী। আমরা তাদের সমর্থন পাবো। আমাদের তিন প্রতিপক্ষই এখানে খেলতে আসবে। ওই ম্যাচগুলোতে আমরা বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকবো।’
আরআই/এমএমআর/এএসএম